বাংলাদেশের পর্যটন স্পটগুলোকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে কাল থেকে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিচ কার্নিভাল। পর্যটন বর্ষের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় এবার কুয়াকাটায় হচ্ছে এই কার্নিভাল। এর আগে গত বছর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম বিচ কার্নিভাল। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, নান্দনিক সৌন্দর্যের সৈকত কুয়াকাটাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সামনে তুলে ধরতে এই কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে সৈকতে। শনিবার উদ্বোধনী দিনে র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও থাকবে শিশুদের জন্য ফান গেমস, বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, হা-ডু-ডু, ভলিবল খেলা, ঘুড়ি উৎসব, ফুড ফেস্টিভাল ও মেলা, ওয়াটার বাইক, এটিভি রাইডস, বোট বোয়িং, বিচ লাইটিং এবং ফোক ফেস্টিভাল ও রাখাইন সম্প্রদায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাকবে লেজার শো, ফানুস ওড়ানো, ফায়ার ক্যাম্পিং এবং বারবি কিউ উৎসব। দ্বিতীয় দিনে কার্নিভালে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি পর্যটককে নিয়ে যাওয়া হবে কচিখালী-কটকা-ফাতরার চর-সুন্দরবন নৌভ্রমণ। এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন একইভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতকে প্রোমট করা ও দেশি-বিদেশি পর্যটকের কাছে জনপ্রিয় করে তোলা এবং কুয়াকাটার আকর্ষণ ও সুবিধাদি সবাইকে জানানোই এই কার্নিভালের মূল উদ্দেশ্য।
কুয়াকাটা হচ্ছে সেই সমুদ্রসৈকত যেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুই-ই একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। আবার এই সমুদ্রসৈকত থেকেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন দর্শন করা যায়। সহজেই পৌঁছা যায় সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থানগুলোতে। মূলত পর্যটনের অপার সম্ভাবনার এই সমুদ্রসৈকতকে এবং আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় সেই চেষ্টা করা হবে বিচ কার্নিভালের মাধ্যমে। বিটিবি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকালে কার্নিভালের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উপস্থিত থাকবেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ আসম ফিরোজসহ আশপাশের জেলার সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে কার্নিভালকে ঘিরে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।