অল্প খরচে স্বল্প সময়ে আবাদ করে বিষমুক্ত ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে থাই পেয়ারা চাষ করে ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছেন আব্দুল্লাহ। মাটির উর্বরা শক্তি ও আবহাওয়া অনুকূলের পাশাপাশি ভালো চারা, জৈব সার, সেচ ও নিয়মিত পরিচর্চা করায় এ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। এসএম আব্দুল্লাহ আখতারুজ্জামান প্রায় ১৪ বিঘা জমিতে এ থাই পিয়ারা চাষ করেছেন।  মৌসুমে বাগান থেকে থাই পিয়ারা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পাইকার, আড়ত্দার প্রতি সপ্তাহে বাগান থেকে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন শহর রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছে। থাই পেয়ারা বিক্রি করে বাগানের খরচ বাদ দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন বলে জানান তিনি। এসএম আব্দুল্লাহ আখতারুজ্জামান দিনাজপুরের ফুলবাড়ী মহিলা ডিগ্রি কলেজের একজন প্রভাষক। বাড়ি ফুলবাড়ী শহরের নিমতলা এলাকায় হলেও শ্বশুরবাড়ির সুবাদে বিরামপুরের মুকুন্দপুর এলাকার বালুপাড়ায় লিজ নেওয়া প্রায় ১৪ বিঘা জমিতে এ থাই পেয়ারা চাষ শুরু করেন। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে চাষ করায় পেয়ারা সুস্বাদু হওয়ায় অধিক লাভজনকে সাফল্য এসেছে।  আব্দুল্লাহ আখতারুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালের শেষের দিকে এ থাই পেয়ারা চাষ শুরু করেন। ভালো ফল পেতে নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বাগানও পরিদর্শন করেছেন। দশ মাস পরেই তার পেয়ারা গাছে ফল আসে। বাগানের প্রতিটি থাই পিয়ারার ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ২৫ কেজি পেয়ারা পাওয়া যায়। খেতে খুব সুস্বাদু। প্রতি কেজি পিয়ারা বাগানে পাইকারি দর ৮০ থেকে ৯০ টাকা। খুচরা বিক্রি বিরামপুরে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। নিয়মিত পরিচর্যা করে চাষ করলে প্রতিটি থাই গাছ থেকে এক হাজার টাকার অধিক লাভবান হওয়া যায়। তার বাগানে এখন ১৮০০ গাছ রয়েছে এবং প্রতিটিতেই ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিষমুক্ত থাই পেয়ারা চাষ হচ্ছে।

এরই মধ্যে থাই পেয়ারার ৪ হাজার কলম চারা করা হয়েছে। প্রতিনিয়তই বাগান দেখার জন্য কৃষি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেন এবং পরামর্শ দেন। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে জৈব সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত থাই পেয়ারা চাষ করায় এটা যেমন সুস্বাদু তেমনি লাভজনক। আব্দুল্লাহর এ থাই পেয়ারা বাগান অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে।