শিরোনাম
শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি

দোরগোড়ায় একুশে বইমেলা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি

আর কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭’। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মাসের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসবেন। প্রকাশক, লেখক ও ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। গত ২৩ জানুয়ারি ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্টল বুঝে নিয়েছেন প্রকাশকরা। বর্তমানে চলছে সাজসজ্জার কাজ। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রকাশকরা। নির্মাণ শ্রমিকদের হাতুড়ি-বাটালের ঠুনঠান শব্দে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এখন সরব।

গতকাল বিকালে মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শনে আসেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় তারা মেলার পুরো মাঠ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে দুই মন্ত্রী কাজের খোঁজখবর নেন। দুই মন্ত্রীর সঙ্গে মেলার মাঠ পরিদর্শনে আরও ছিলেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনীর সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গণি প্রমুখ। মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা খুশি। সামনে যে কোনো রকমের প্রয়োজনে তাত্ক্ষণিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মেলার মাঠ ঘুরে আমি এটুকু বলতে পারি এবার মেলা বেশ গোছানো হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশেও খাবার দোকানের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি নান্দনিক দিক থেকেও এবারের মেলা ভিন্নরকম হবে। মেলায় প্রবেশের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দিকের অংশেও প্রবেশদ্বার রাখার জন্য এ সময় জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশকদের পক্ষ থেকে দাবি উত্থাপন করা হলে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর তাত্ক্ষণিকভাবে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে উৎসর্গ করা হচ্ছে এবারের মেলা।

আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন : বাংলা একাডেমির আয়োজনে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী দিন ১ ফেব্রুয়ারি মেলা মঞ্চে শুরু হবে ‘সম্প্রীতির জন্য সাহিত্য’ শীর্ষক চার দিনের আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, চীন, রাশিয়া, পুয়ের্তোরিকো, থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশসহ আটটি দেশ এই সাহিত্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। সাহিত্য সম্মেলনের অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ-সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য, অনুবাদ-সাহিত্য, নাট্যসাহিত্য, শিশু-কিশোর সাহিত্য, ফোকলোর। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভারতের লেখকদের উপস্থাপিত প্রবন্ধসমূহের সংকলন যুগপৎ ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত হবে। এই সম্মেলনের একটি বিশেষ অংশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কবিদের কবিতাপাঠ অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, রবীন্দ্র-গবেষক আহমদ রফিক, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানসহ দেশের ছয়জন বিশিষ্ট লেখক-বুদ্ধিজীবীকে ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন লেখক সম্মাননা ২০১৭’ প্রদান করা হবে।  গতকাল বিকালে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এই আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন উদ্যাপন পর্ষদের পক্ষে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি আসাদ চৌধুরী, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, অধ্যাপক ফকরুল আলম, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কবি মুহম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি ফরিদ কবির প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর