রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ট্রাম্প প্রশাসনের আদেশ

সাত মুসলিম দেশের মার্কিন ভিসা বন্ধ

প্রতিদিন ডেস্ক

ইরান, ইরাকসহ সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া আপাতত তিন মাসের জন্য বন্ধ করার উদ্যোগ নিল দেশটি। এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নাগরিকদের মার্কিন ভিসা প্রদান পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে শুক্রবার স্বাক্ষরিত ওই নির্বাহী আদেশে ইরাক, লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আগামী চার মাস স্থগিত থাকবে। তবে সিরীয় শরণার্থীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের  নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা রয়েছে মূলত এমন দেশের নাগরিকদের অভিবাসন ও অন্যান্য ভিসা প্রদান প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করতেই এ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে সুরক্ষিত থাকবে বলে ট্রাম্প প্রশাসন মনে করছে। তবে ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশে টেক জায়ান্ট গুগল, ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, মানবাধিকার সংগঠন, ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর ও প্রতিনিধি, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাইসহ প্রখ্যাত ব্যক্তিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গুগল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ভ্রমণরত নিজেদের কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে ইরাক, ইরান ছাড়াও সিরিয়া, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আগামী তিন মাস এসব দেশের নাগরিকদের ভিসা প্রদান করবে না যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাহী আদেশটির শিরোনাম ‘বিদেশি সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ থেকে জাতিকে সুরক্ষা প্রদান।’ এ পদক্ষেপের মাধ্যমে উগ্রপন্থি ইসলামী সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকানো যাবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো ও ডেমোক্রেটদলীয় সদস্যরা এমন পদক্ষেপকে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ইসলামবিরোধী’ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন। এর ফলে গ্রিনকার্ড ও অন্যান্য ভিসাধারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকান-আরব বৈষম্যবিরোধী কমিটি। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এসব দেশের নাগরিকদের আপাতত বিদেশ ভ্রমণে না যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে সংগঠনটি। ভিসা প্রদান সংক্রান্ত ট্রাম্পের নতুন আদেশের জের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ওই সব দেশের অভিবাসীদের আত্মীয়স্বজনদের ওপরও পড়েছে। এরই মধ্যে অনেক অভিবাসীর আত্মীয়স্বজনকে যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি বলে বিবিসি জানিয়েছে। মোহাম্মদ আল রাউয়ি নামে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক ইরাকি সাংবাদিক এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, কাতার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসগামী এক বিমানে তার বাবাকে উঠতে দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর