আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গঙ্গা চুক্তি যার হাতে হয়েছে, তিস্তা চুক্তিও তার হাত দিয়েই হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। ভারতের সঙ্গে অনেক অমীমাংসিত বিষয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মীমাংসা করেছেন। আশা করি তিস্তা চুক্তিও হবে। গতকাল রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কৃষক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে নয়। আমরা সামরিক-বেসামরিক যেসব চুক্তি করব তা হবে বাংলাদেশের স্বার্থে। জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী কোনো চুক্তি আওয়ামী লীগ সরকার করবে না। জঙ্গিবাদ সরকারের অতিরঞ্জিত-বিএনপি নেতাদের এমন দাবির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া, সীতাকুণ্ড, নারায়ণগঞ্জ, বাড্ডাসহ কয়েক মাসে যেসব ঘটনা ঘটল এসব কি অতিরঞ্জিত? আসলে যারা জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, মদদ দিয়ে তাদের দুঃসাহস বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। জঙ্গিবিরোধী সরকারের সফল কর্মকাণ্ডে বিএনপির অন্তর্জ্বালা ধরেছে। সংগঠনের সভাপতি আবদুস সালাম বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা, সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুইট প্রমুখ। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির দাবির প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড বলতে বিএনপিকে বিজয়ী করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ নিশ্চয়তা দেবে জনগণ। তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলে নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা বাড়ে। এখন চাটুকারির রাজনীতি চলছে। নেতা তোষণ-চাটুকারের প্রতিযোগিতা চলছে। এই চাটুকার মোশায়েকরা বিরোধী দলের বিদ্বেষপূর্ণ রাজনীতির চেয়েও ভয়ঙ্কর। শহরে কৃষক লীগ দরকার নেই সাফ জানিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের আবারও বলেন, কৃষক লীগ হবে গ্রাম কেন্দ্রীয়। যেখানে কৃষকরা থাকেন। সত্যিকারের কৃষক লীগ যেখানে সেখানে কৃষকের কল্যাণে কাজ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, দলের চেয়ে ব্যক্তি উন্নয়ন করতে গিয়ে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সারা দেশে ৯০ ভাগ জেলায় আইনজীবী সমিতিতে আমরা বিজয়ী হয়েছি। ঢাকায় দুটি আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে হেরে গেলাম। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন চলছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী অনেক দুর্বলতার কথা আমাকে জানালেন। তিনি যে আশঙ্কা করেছিলেন ফলাফল তাই হয়েছে। দলীয় কোন্দল মিটিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলে নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা চলে। বিরোধী দলে থাকলে প্রতিযোগিতা নেই। এখন পদ দরকার। অনেক শিল্পপতি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তাঁতী লীগের পদ পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করেছেন। কেন? তারা তো তাঁতী নন?