বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভুয়া এলসি কারবার থামছে না

অনিয়ম বন্ধে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের

রুহুল আমিন রাসেল

ভুয়া ঋণপত্র বা এলসিতে পণ্য আমদানির কারবার থামছে না। এমন পরিস্থিতিতে এ অনিয়ম বন্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড— এনবিআরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এই নির্দেশের আলোকে করা তদন্তে এলসি অনিয়মে কর্মকর্তাদের জালিয়াতি, গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতা খুঁজে পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা  ও তদন্ত অধিদফতর। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ— আইআরডি থেকে গত ২৩ মার্চ শুল্ক গোয়েন্দার করা তদন্ত প্রতিবেদনে অনিয়ম উদঘাটনের তথ্য উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পত্র দিয়েছে এনবিআর চেয়ারম্যানকে। একই দিন আরেকটি পত্রে রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনারকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আইআরডির সিনিয়র সচিব মো. নজিবুর রহমান পদাধিকারবলে এনবিআরেরও চেয়ারম্যান।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ—

আইআরডির উপ-সচিব মো. হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত ওই পত্রে বলা হয়, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ২০১৫ সালে ভারতের আহমেদাবাদ এলাকার মেসার্স দুর্গেশ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ভুয়া এলসি খোলার মাধ্যমে কটন তুলা খালাস করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাবু বাজারের (৩/২ আকমল রোড) মেসার্স এফ অ্যান্ড ব্রাদার্স। ভুয়া এলসির মাধ্যমে পণ্য খালাসের সময়ে তৎকালীন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম, রেজওয়ান কবীর, রাজস্ব কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, মূল এলসির কাগজপত্র না থাকা ও ইস্যু করা এলসির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে নিশ্চিত না হয়ে এবং এলসির তথ্য রপ্তানিকারক দ্বারা যাচাই হয়েছে, এমন ধরে নিয়ে দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমদানিকারক মেসার্স এফ অ্যান্ড ব্রাদার্সকে সহায়তা করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভুয়া এলসির মাধ্যমে আমদানি পণ্য খালাসের এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ-আইআরডি।

আরেকটি পত্রে আইআরডি রংপুর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনারকে বলা হয়েছে, আমদানিকারক মেসার্স এফ অ্যান্ড ব্রাদার্সের জাল এলসি দাখিল করার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর—বিআইএন লক করা হোক। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির মালিক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স হাবিব ইন্টারন্যাশনালের মালিকের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা দায়ের ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স বাতিল করা হোক।

সর্বশেষ খবর