সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

চুরি যাওয়া সেই শিশু মায়ের কোলে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

চুরি যাওয়া সেই শিশু মায়ের কোলে

সন্তানকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

চুরি হওয়া নবজাতককে কোলে ফিরে পেয়েছেন মা হোসনে আরা। সন্তানকে ফিরে পেয়ে মা খুশি, পরিবারে বইছে আনন্দ। বগুড়ায় চুরি হওয়ার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো নবজাতক। গতকাল বিকালে পুলিশ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে বগুড়া সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ভর্তি থাকা মা এবং বাবার কাছে হস্তান্তর  করে। বগুড়া সদরের ঝোপগাড়ী এলাকার রুবেল হোসেনের স্ত্রী হোসনে আরা। ২৮ মার্চ সন্তান প্রসবের জন্য বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ৩৫ নম্বর বেডে ভর্তি করান। পরে দিন ২৯ মার্চ একটি ফুটফুটে ছেলে শিশু জন্মগ্রহণ করে। এরপর ১ এপ্রিল সকাল ৯টার সময় প্রসূতি হোসনে আরার মা রেহেনা বেগম হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের পাশেই শিশুকে রোদে ধরেন। এ সময় রত্না বেগম নামের অপরিচিত মহিলা নবজাতকের নানী রেহেনা বেগমকে কৌশলে কাপড় আনতে পাঠিয়ে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের রমজান আলী নামে এক ব্যক্তি চুরি হওয়া শিশুর মতোই একটি শিশু দেখতে পেয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ফোন দিয়ে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে থানা পুলিশে খবর দেওয়া মাত্রই অভিযান শুরু হয়। জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনায় ধুনট থানার এসআই খোকন কুণ্ডুসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে প্রথমে কাজিপুরের ঢেকুরিয়া গ্রামে এবং পরে সেখান থেকে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানের খবর পেয়ে মাঝবাড়ি গ্রামের নিঃসন্তান ফুল মিয়া ও লাবণী আকতার চুরি হওয়া শিশুটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে শিশুটি উদ্ধার করে বিকালে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করে। তিনি আরও জানান, বগুড়া সদরের বারপুর এলাকার রত্না বেগম নামের এক মহিলা শিশুটি চুরি করে নিয়ে যান। রত্না বেগমের শ্বশুরবাড়ি গাবতলী উপজেলার মাঝবাড়ি এলাকায়। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে চুরির পর বিক্রি করে থাকতে পারে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি, তবে অভিযান চলছে। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিধান চন্দ্র মজুমদার জানান, চুরি হওয়া শিশু উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসূতি ও শিশু দুজনই সুস্থ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর