লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিদ্যুতায়িত হয়ে কলেজছাত্র ও তিন ইলেক্ট্রিশিয়ানসহ চারজনের মৃত্যুর ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন ইলেক্ট্রিশিয়ান সমিতির সদস্যরা। মৃত্যুর প্রতিবাদে তারা আজ থেকে তিন দিনের কর্মবিরতিও ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের কাছিম বাজার এলাকায় ঝড়ে ছিঁড়েপড়া ৩৩ হাজার ভোল্টেজের লাইন বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে মেরামত করতে গিয়ে কলেজছাত্র মিলটন, ইলেক্ট্রিশিয়ান খোরশেদ আলম, ফেরদৌস ও উকিল মিয়া বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। এর প্রতিবাদে গতকাল সকালে হাতীবান্ধা রেলস্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘুষবাণিজ্যের প্রতিবাদ করায় গত মাসে আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ইলেক্ট্রিশিয়ান খোরশেদকে বিল বিতরণকারী পদ থেকে চাকরিচ্যুত করেন। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের ওই প্রকৌশলীর সঙ্গে স্থানীয় ইলেক্ট্রিশিয়ানদের দূরত্ব তৈরি হয়। এরই জের ধরে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে কাশিম বাজারে ছিঁড়েপড়া তার মেরামত চুক্তি করার সময় দরকষাকষি নিয়েও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সঙ্গে ইলেক্ট্রিশিয়ান খোরশেদ আলমের মোবাইল ফোনে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাদের কাজে লাগিয়ে বিদ্যুতের লাইন চালু করেন। ফলে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই খোরশেদসহ চারজনের মৃত্যু হয়। সমাবেশে উপজেলা ইলেক্ট্রিশিয়ান সমিতির সভাপতি আইয়ুব আলীসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।