বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

এরশাদের দুর্নীতি মামলায় আপিলের রায় ৯ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপহার গ্রহণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের করা আপিলের ওপরে ৯ মে রায়ের দিন ধার্য হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করে। সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের দুটি আপিল ও খালাস চেয়ে এরশাদের করা আপিলের ওপরে শুনানি শেষ হয়েছে। আদালতে এরশাদের পক্ষে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এর আগে ২৩ মার্চ দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের করা আপিলের ওপর রায়ের দিন ধার্য থাকলেও ওইদিন হাই কোর্টে রায় ঘোষণা হয়নি। ওইদিন আদালত জানায়, এ মামলায় সাজা বাড়াতে দুই যুগ আগে রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিল আদালতের নজরে এসেছে। একটি রায় থেকে তিনটি আপিলের উদ্ভব হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে তিনটি আপিলেরই সংশ্লিষ্টতা থাকায় সেগুলোর শুনানি একসঙ্গে হওয়া উচিত। এ অবস্থায় তিনটি আপিলই প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হলো। পরে এ মামলার আপিল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করা হয়। মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ নির্ধারণ করা হয়। ৩ এপ্রিল এরশাদের সাজা বাড়াতে রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিলে দুদকের পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।  এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে পাওয়া বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো রাজধানীর সেনানিবাস থানায় মামলা করে।

এরশাদের বিরুদ্ধে ওই মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। বিচার শেষে ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদকে তিন বছর কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয় আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাই কোর্টে আপিল করেন। পরে হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের সাজা স্থগিত করে। ১৯৯৪ সালে এ আপিলের শুনানি শুরু হয়। মামলা শুনানির শেষ পর্যায়ে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারিক ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির বিচার থেমে যায়। এই পেক্ষাপটে ২০১২ সালের ২৬ জুন দুদক আপিলে পক্ষভুক্ত হয়। এরপর আপিল শুনানির দিন ধার্য করতে দুদক গত বছরের ২২ আগস্ট হাই কোর্টে আবেদন করে।

সর্বশেষ খবর