রবিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

কীর্তনখোলায় ওয়াটার বাস কার্গো সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

কীর্তনখোলায় ওয়াটার বাস কার্গো সংঘর্ষ

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ভাঙার মুখ সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে যাত্রীবোঝাই ওয়াটার বাস ও বালুবোঝাই কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কার্গোটি ডুবে গেছে এবং ওয়াটার বাসটি তলা ফেটে আটকে রয়েছে। গতকাল বিকালে এ ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ওয়াটার বাস গ্রিনলাইন-২ দুপুরে বরিশাল নদীবন্দরে পৌঁছে। বিকাল ৩টার দিকে  ফের ৪ শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌযানটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা চলার পর গ্রিনলাইন চরবাড়িয়া ভাঙার মুখ সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী অতিক্রম করার সময় বিপরীতমুখী বালুবোঝাই একটি ছোট কার্গোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটায়। এতে কার্গোটি ডুবে যায়। কার্গোর কর্মচারীরা সাঁতরে তীর উঠতে সক্ষম হন। এদিকে সংঘর্ষে গ্রিনলাইনের সামনের অংশের তলানি ফেটে পানি ঢুকতে থাকলে যাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পানি ঢুকে কিছুক্ষণের মধ্যেই নৌযানটি বাম দিকে কাত হতে থাকলে অনেক যাত্রী লাফিয়ে নদীতে পড়েন। অনেককে আশপাশে থাকা নৌকা-ট্রলারে করে উদ্ধার করা হয়। কেউ স্থানীয়দের পেতে দেওয়া বাঁশ মাড়িয়েও নেমে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ডুবুডুবু অবস্থায় নৌযানটি নদীর তীরে বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন বলে কাউনিয়া থানার ওসি সেলিম রেজা জানিয়েছেন। পরে বরিশাল নদীবন্দরে থাকা একটি লঞ্চে করে বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের উদ্ধার করে নৌবন্দরে পৌঁছে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। রাতে দুর্ঘটনাকবলিত গ্রিনলাইন নৌযানটি উদ্ধারে নামে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক। এ দুর্ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। বরিশাল নদীবন্দরের পরিদর্শক মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, কার্গো ডুবে গেলেও কর্মচারীরা নিরাপদে তীরে উঠতে পেরেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিনলাইনের যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে একটি লঞ্চযোগে নদীবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

 নৌযানটি উদ্ধার করতে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক কাজ করছে। এদিকে এই দুর্ঘটনার জন্য গ্রিনলাইনের মাস্টারের অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন এর ক্ষুব্ধ যাত্রী মীর আরমান আহমেদ।

সর্বশেষ খবর