শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

রিমান্ড শেষ, নাগরী ও সুমি কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিমান্ড শেষ, নাগরী ও সুমি কারাগারে

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় নূরানী আক্তার সুমি ও তার বন্ধু শাহাবুদ্দীন নাগরীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরী এ আদেশ দেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে চার দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতলুবর রহমান শাহাবুদ্দীন নাগরী ও সুমিকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। এদিকে ২৭ এপ্রিল হত্যার ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরী। ২২ এপ্রিল তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল নাগরী ও সুমিকে আদালতে হাজির করা হলে দুই আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলাম। এ ছাড়া তিনি মামলার অন্য আসামি গাড়িচালক সেলিম হোসেনকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুই দফায় ৯ দিন রিমান্ডে ছিলেন নাগরী ও সুমি। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তারা নিজেদের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করলেও হত্যা সম্পর্কে তথ্য গোপন এবং অসলগ্ন কথা বলেছেন। হত্যার কারণ জানতে সুমি ও নাগরীকে আলাদাভাবে এবং মুখোমুখি করেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কথাবার্তায় কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে হত্যার সুষ্ঠু তদন্তে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল এলিফ্যান্ট রোডের ১৭০/১৭১ নম্বর ডোম-ইনো অ্যাপার্টমেন্টের ৪/বি ফ্ল্যাটে ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ১৪ এপ্রিল নিহত ব্যবসায়ীর বোন শাহানা রহমান কাজল বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নূরুল ইসলামের স্ত্রী নূরানী আক্তার সুমি, তার বন্ধু কবি, গীতিকার ও সাবেক কাস্টমস কমিশনার শাহাবুদ্দীন নাগরীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পরপরই সুমি ও গাড়িচালক সেলিমকে এবং ১৭ এপ্রিল রাজধানীর নিকুঞ্জ থেকে নাগরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর