শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাচারের উদ্দেশে সুমাইয়াকে অপহরণ করেছিল বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাচারের উদ্দেশে সুমাইয়াকে অপহরণ করেছিল বৃষ্টি

সুমাইয়া

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে পাঁচ বছরের শিশু সুমাইয়াকে অপহরণ মামলায় হাতেনাতে গ্রেফতার সাবিনা আক্তার বৃষ্টি ও তার পিতা সিরাজ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিবুল ইসলাম জানান, শিশু সুমাইয়াকে অপহরণ করে কত টাকার বিনিময়ে তারা পাচার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল— সে সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় তারা জানিয়েছেন, পাচারের উদ্দেশেই সুমাইয়াকে অপহরণ করেছিল বৃষ্টি। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার বাবা। এ ছাড়াও তার সঙ্গে স্থানীয় আরও অপরাধী চক্রের সদস্য যুক্ত। সংঘবদ্ধ এই চক্রের সদস্যরা এলাকায় মাদক ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে সুমাইয়া অপহৃত হয়। এ ঘটনায় সুমাইয়ার বাবা জাকির হোসেন ২৪ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচর থানায় অপহরণের মামলা করেন। গত বুধবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর জুরাইনের রহমতবাগ এলাকার দক্ষিণ দনিয়ার কামাল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামের ঘর থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় আসামিদের। অপহরণের অভিযোগে কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিবুল ইসলাম। প্রকৃত রহস্য জানতে আসামিদের ১০ দিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে তিনি আদালতের আদেশ প্রার্থনা করেন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রথম শনাক্ত করা হয়। কামরাঙ্গীরচর বড়গ্রাম এলাকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ হোসেনের বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণে কালো বোরকা পরা এক নারীকে শিশুটির হাত ধরে হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে জুরাইনের রহমতবাগ এলাকায়  ভাড়া বাসা থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে বৃষ্টি ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। বড়গ্রামে ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ হোসেনের বাড়ির তিন ঘর পরেই সুমাইয়ার বাবা জাকির হোসেন ভাড়া বাসায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাস করেন। গত বছরের রমজান মাসের আগে তাদের পাশের ঘরে এক দম্পতি ছিল। অর্থাৎ ওই দম্পতি ছিল বৃষ্টি ও তার স্বামী। আট মাস ওই বাসায় থেকে বৃষ্টি স্বামী নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। তদন্তের শুরুতে বৃষ্টির বাবা পুলিশকে জানান, বৃষ্টিই সুমাইয়াকে অপহরণ করেছে। পরে ভিডিও ফুটেজে বোরকা পরে ওই নারীই বাচ্চাকে নিয়ে যেতে দেখা যায়। তখনই বৃষ্টিকে শনাক্ত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর