বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
সুদিনের অপেক্ষায় বগুড়ার ব্যবসায়ীরা

শিল্পের শহরের গৌরব ফিরছে : মিলন

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

শিল্পের শহরের গৌরব ফিরছে : মিলন

বগুড়া শিল্পের শহর। শিল্পের চাকা বন্ধ হয়ে থাকলে লোকসান গুনতে হয়। আর এ লোকসান শুধু একটি প্রতিষ্ঠানে নয়, এর ধকল পর্যায়ক্রমে গিয়ে সব ব্যবসায় লাগে। এ কারণে ব্যবসা সচল রাখতে সরকারি সব সহযোগিতা করতে হবে। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখন শিল্পের শহর বগুড়া তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে শুরু করেছে। একসময়ের কটন মিল, টোব্যাকো কোম্পানি, জাহেদ মেটালসহ যেসব বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান বগুড়াকে শিল্পের শহর হিসেবে খ্যাতি এনে দিয়েছিল, সেগুলো নানা কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে নতুন উদ্যোক্তারা নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তুলছেন। বিশেষ করে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, জুট মিল, গ্লাস ফ্যাক্টরি, পোলট্রি শিল্পসহ অনেক খাত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা এসব খাতে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। বগুড়া চেম্বারের একাধিক ব্যবসায়ী বিনিয়োগ করার মধ্য দিয়ে দেশের রাজস্ব আয় বাড়াতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। এফবিসিসিআইর পরিচালক ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাছুদুর রহমান মিলন সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। বগুড়া চেম্বার সভাপতি বলেন, ভ্যাট নিয়ে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, আশা করছি তা দ্রুত কেটে যাবে। তিনি বলেন, দেশে প্রচুর চাল মজুদ রয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই। অথচ বাজারে চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এর কারণ ব্যক্তিপর্যায়ে চাল গুদামজাত করা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চাল গুদামজাত করে এ কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। সরকার নিয়মিত মনিটরিং করলে চালের বাজার স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, হাউজিং সেক্টরে কোনো নীতিমালা নেই। ফলে যেখানে-সেখানে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কল-কারখানা গড়ে তোলার মতো জমি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পাওয়া গেলেও দাম হাঁকা হচ্ছে দ্বিগুণ। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীকে জমি ক্রয় বাবদই বড় অঙ্ক বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। এতে করে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। তবে বগুড়ায় আশার আলো এই যে, প্রধানমন্ত্রী বগুড়াকে অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা করেছেন। এর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু উন্নত মানের চাহিদাসম্পন্ন শিল্প-কলকারখানা স্থাপিত হবে। এতে করে বগুড়ার শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

সর্বশেষ খবর