শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ

স্বীকারোক্তি দিলেন নাঈম আশরাফ

নিজস্ব ও আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তার খাসকামরায় আসামির এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এর আগে আলোচিত এই মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চার আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নাঈম আশরাফকে ১৭ মে রাতে মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে ১১ মে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া ১৫ মে ঢাকা থেকে গ্রেফতার হন সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলী। গত ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন।

এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এ এইচ আদনান হারুন এবং মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ফ্রাঙ্ক ফরগেটকে ডেকে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। গতকাল বিকালে তারা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। রেইনট্রির এমডি বলেন, এখানে (হোটেল) মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে আমরাও শাস্তি চাইছি। সবসময় আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করে যাচ্ছি।

দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেল ধ্বংসের মুখে পড়েছে বলে দাবি করেছেন হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বি এ এইচ আদনান হারুন। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা পদে পদে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব এম রবিউল ইসলাম বলেন, গুলশানের ডিসি, বনানী থানার ওসি ও পরিদর্শককেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তারা না এসে সময়ের আবেদন করেছেন। আগামী ৪ জুন তাদের কমিশন কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এদিকে আপন জুয়েলার্সের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে গতকাল শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে যায়নি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। ফলে এর পাঁচটি শাখায় ফের অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা। এর আগে গত ২৩ মে শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে তলবে উপস্থিত না থাকায় গতকাল তাদের তলব করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বর্ধিত সময়ে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ হাজির না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম-পরিচালক সাফিউর রহমান বলেন, গতকাল দিলদার হোসেনসহ আপন জুয়েলার্সের সব শাখার ম্যানেজারদের বৈধ কাগজ নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা আসেননি। এ কারণে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান-২ সুবাস্তু টাওয়ার, গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেট, সীমান্ত স্কয়ার, উত্তরা ও মৌচাকের পাঁচটি শাখায় ফের অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব শাখায় যদি বৈধ কাগজপত্র না পাওয়া যায় তাহলে শুল্ক গোয়েন্দা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ খবর