রবিবার, ২৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্মৃতিচারণ-কবিতায় কাজী আরিফকে স্মরণ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

স্মৃতিচারণ-কবিতায় কাজী আরিফকে স্মরণ

স্মৃতিচারণ ও কবিতার দীপ্ত উচ্চারণে সদ্য প্রয়াত বাচিকশিল্পী কাজী আরিফকে স্মরণ করেছেন তারই অগ্রজ, সতীর্থ ও অনুজ আবৃত্তিশিল্পীরা। কথামালা আর আবৃত্তিতে নিভৃতচারী এই আবৃত্তিশিল্পীর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের বক্তা ও আবৃত্তিকাররা। বাংলাদেশ আবৃত্তি সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে গতকাল সকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘মৃত্যু পেরিয়ে তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী’  শীর্ষক এই আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্মৃতিচারণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ও আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, স্থপতি শফি আহমেদ, পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইকবাল খোরশেদ। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেলায়েত হোসেন। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এ দেশে তরুণ প্রজন্মকে আবৃত্তির দিকে আকৃষ্ট করতে যারা অবদান রেখে গেছেন, তাদের মধ্যে প্রথমেই আরিফের নামটি গর্বের সঙ্গে উচ্চারণ করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ‘কাজী আরিফ একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে তার আবৃত্তিচর্চায় সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে অসাম্প্রদায়িক ও সমাজকল্যাণমূলক চেতনা সব সময় ছিল। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ যখন উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেছিল, তখন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে  যোগ দিয়েছিলেন আরিফ। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় শুধু আবৃত্তিতে নয়, রাজপথের প্রতিটি আন্দোলনে কাজী আরিফ সব সময় ছিলেন।’ সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ‘কাজী আরিফ সযত্নে ভিতরের যন্ত্রণার কথা এড়িয়ে গেছে। তার জীবনের অর্ধেক ছিল অত্যন্ত দুঃখের। কিন্তু সেই দুঃখ কেড়ে নিতে পারেনি তার মুখের হাসি। স্মৃতিচারণ পর্ব শেষে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ডালিয়া আহমেদ, গোলাম সারোয়ার, রেজিনা ওয়ালী লীনা, মাহিদুল ইসলাম, মজুমদার বিপ্লব প্রমুখ। প্রসঙ্গত, এ বছরের ২৯ এপ্রিল নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুক্তিযোদ্ধা-স্থপতি ও আবৃত্তিশিল্পী কাজী আরিফ।

সর্বশেষ খবর