ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে ইফতারির বিশাল আয়োজন। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাহারি ইফতার নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ইফতার বাজার। রমজান জুড়ে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড-সংলগ্ন আইসিসিবিতে পাওয়া যাবে সবার পছন্দের সব খাবার আইটেম। এখানে রয়েছে পার্টি আয়োজনের ব্যবস্থা। রয়েছে পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে বিশেষ ইফতার পার্টির সুযোগ। যে-কেউ চাইলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আইসিসিবির গুলনকশা হলে বসেই মজাদার ইফতার করতে পারবেন। আইসিসিবি প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, রাজধানীর পুরান ঢাকার নামকরা ৮১টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশাল এই ইফতার বাজার চলছে। এতে আছে বাবা রাফি, ৩০০ ফিট এক্সপ্রেস, মুঘল-ই-আজম, বাঁধনস, বহেড়ার মতো ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি খাবার নিয়ে স্টল সাজিয়েছে। আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকার বিখ্যাত বড় বাপের পোলায় খায়, বিফ কিমা ভুনা, লেগ রোস্ট, বিফ কালো ভুনা, বিফ লিভার ভুনা, মাটন রেজালা, মোরগ মোসাল্লাম বিফ কালিজিরা, বিফ ব্রেইন মাসালা, বিফ নেহারি, বিফ চাপ, শাহি বিফ হালিম, শাহি মাটন হালিম। তুলনামূলক সস্তা দামেই পাওয়া যাচ্ছে এসব ইফতার আইটেম। বিভিন্ন ধরনের ঝাল খাবারের সঙ্গে আছে ফলের জুস, জাফরানি বাদাম পেস্তা দুধের শরবত, শাহি লাবাং, শাহি জিলাপি। ৩০০ ফিট এক্সপ্রেস স্টলের কর্মী আবু সাঈদ বলেন, ‘প্রতিদিন কোয়ালিটি পরীক্ষা করে খাবার তৈরি করা হয়। আমাদের এখানে তুলনামূলক কম দামে খাবার পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে, বাটার নান প্রতি পিস ৪৫ টাকা, চিকেন সাসলিক ৭৫ টাকা, বিফ সাসলিক ১০০ টাকা, হায়দ্রাবাদ বিরিয়ানি ৩৮০ টাকা প্যাকেট, বিফ কালা ভুনা ৩৫০ টাকা, চিকেন জালি কাবাব ৮০ টাকা পিস, ফিশ অ্যান্ড চিপস ১৮০ টাকা, ফ্রাইড জাম্বো প্রন ১২০ টাকা, মাটন লেগ রোস্ট ১৫৫০ টাকা প্রতি পিস।’ ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে বড় বাপের পোলায় খায় প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, বিফ লিভার ভুনা কেজি ১০০০ টাকা, মাটন রেজালা কেজি ১৫০০ টাকা, মোরগ মোসাল্লাম পিস ৫০০ টাকা, বিফ কালিজিরা কেজি ১২০০ টাকা, বিফ নেহারি কেজি ৬০০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের ফ্রাইয়ের মধ্যে রয়েছে পনির সমুচা পিস ৩০ টাকা, চিকেন স্প্রিং পিস ৪০ টাকা, চিকেল ললিপপ পিস ৮০ টাকা, মাটন জালি কাবাব পিস ৭০ টাকা, বিফ চাপ পিস ১২০ টাকা, চিকেন সাসলিক ১০০ টাকা, মাটন চাপ ১৫০ টাকা, চিকেন বারবিকিউ ১৫০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ১৫০ টাকা। মিষ্টিজাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে রেশমি শাহি জিলাপি কেজি ৮০০ টাকা, শাহি জিলাপি কেজি ৫০০ টাকা, জাফরানি বাদাম পেস্তা দুধের শরবত ৩০০ টাকা লিটার, শাহি লাবাং ২০০ টাকা লিটার। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস পাওয়া যাচ্ছে স্বল্প মূল্যে। এই ইফতার বাজারের আয়োজক আইসিসিবি। আয়োজকরা জানান, প্রতিদিন খাবার পরীক্ষা করে স্টলে ঢুকতে দেওয়া হয়। কোনো বাসি খাবার এখানে গ্রহণ করা হয় না। সারা দিন বিক্রি হওয়ার পর যা অতিরিক্ত থাকবে তা নিয়ে যেতে হবে। বাসি খাবার বা আগের দিনের খাবার বিক্রি নিষেধ। আইসিসিবির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) সানজিদা শারমিন খান বলেন, প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে ইফতার বাজার শুরু হয়। প্রতিটি স্টলে খাবার কোয়ালিটি চেক করা হয় প্রতিদিন। গ্রাহকদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করার জন্য আমরা সব সময় সচেতন। কোনোভাবে বাসি খাবার বিক্রির সুযোগ নেই। এখানে অজু নামাজের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে রোজাদারদের জন্য। গাড়ি পার্কিয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।