বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাবেক মন্ত্রী মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি ফোন কোম্পানি সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান ও তার স্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গতকাল রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।  দুদকের (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখার) উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন সংস্থার উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সিটিসেলের নামে আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। এম মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী ছাড়াও পিবিটিএলের কর্মকর্তা ও ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্টদের আসামি করা হয়েছে মামলায়। মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। এ কোম্পানির হাত ধরে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল) নামে টেলিকম সেবা পরিচালনার লাইসেন্স পায় বর্তমান সিটিসেল। পরের বছর হংকং হাচিসন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে বিটিএল নাম বদলে হয় হাচসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় আবার পরিবর্তন আসে। তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মোটরস ও ফারইস্ট টেলিকম মিলে এইচবিটিএলের শেয়ার কিনে নেয়। কোম্পানির নাম বদলে হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড। ব্র্যান্ডিং শুরু হয় সিটিসেল নামে। বিএনপি সরকার আমলে এ কোম্পানি একচেটিয়া ব্যবসা করেছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর আরও কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হলে তাদের একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটে। এরপর ধুঁকতে থাকা এ কোম্পানিতে ২০০৪ সালে বিনিয়োগ করে সিঙ্গাপুরের সিংটেল। কিন্তু ব্যবসা আর প্রসার ঘটেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড।

সর্বশেষ খবর