বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা
মানব পাচার

যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশের অবনতি

প্রতিদিন ডেস্ক

মানব পাচার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনমন ঘটেছে। আর এর কারণ হিসেবে পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগী না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজ।

‘ট্রাফিকিং ইন পারসন’ শীর্ষক বার্ষিক এই প্রতিবেদনে গত পাঁচ বছর বাংলাদেশকে রাখা হয়েছিল দ্বিতীয় স্তরে (টায়ার-টু)। এবার এক ধাপ নামিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্তরের ‘নজরদারিতে থাকা দেশের’ তালিকায় (টায়ার-টু ওয়াচ-লিস্ট) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সৌদি আরব, আলজেরিয়া, পাকিস্তান,

থাইল্যান্ড, হংকংসহ ৪৫টি দেশ এই নজরদারির তালিকায় রয়েছে। আর চীন, রাশিয়া ও ইরানকে এবার রাখা হয়েছে মানব পাচার পরিস্থিতিতে সবচেয়ে মন্দ দেশের স্তরে, অর্থাৎ টায়ার থ্রিতে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ১৮৭ দেশের পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেন, মানব পাচারের মহামারী বন্ধে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। মানব পাচার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই প্রতিবেদনে দেশগুলোকে তিনটি স্তর বা টায়ারে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে যেসব দেশ পাচার ঠেকাতে ‘কার্যকর’ ব্যবস্থা নিয়েছে অর্থাৎ ট্রাফিকিং ভিকটিমস প্রটেকশন অ্যাক্টসের ন্যূনতম মান পূরণে সক্ষম হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, সেসব দেশকে প্রথম স্তর বা টায়ার-ওয়ানে রাখা হয়। দ্বিতীয় স্তর বা টায়ার-টুকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে— টায়ার-টু এবং টায়ার-টু ওয়াচ-লিস্ট। সবশেষে রয়েছে তৃতীয় স্তর বা টায়ার-থ্রি। তিন বছর টায়ার-টু ওয়াচ-লিস্টে থাকার পর ২০১২ সালে বাংলাদেশ টায়ার-টুতে উঠে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচারে ন্যূনতম মান পূরণ না হওয়ায় এবার বাংলাদেশকে পুরনো স্তরে ফিরিয়ে নেওয়া হলো।

সর্বশেষ খবর