বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিশ্বে তাল মেলাতে চাই শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী

পিজিআর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বে তাল মেলাতে চাই শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী

গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড রেজিমেন্টের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আধুনিক এবং শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলায় তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর (প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট) সদর দফতরে পিজিআর’র ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসস। পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই এবং আমরা চাই না কোনো কিছুতেই পিছিয়ে থাকি। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক এবং শক্তিশালী করে গড়ে তুলছি। তিনি এ সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো দুটি সামাজিক দানবকে দমিয়ে আনায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে এ ধারা অব্যাহত রাখারও সংকল্প ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছে। সেখানে অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যেন কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে না থাকে, সেদিক থেকে তাদের জন্য আমি সার্বিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কীভাবে তাদের আরও উন্নত, সমৃদ্ধ করা যেতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজাচ্ছি। তিনি বলেন, ‘বড় বড় দেশ, উন্নত দেশ। তাদের সবই আছে। কারণ তাদের সম্পদ আছে। আমাদের হয়তো সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরেও আমরা একটা স্বাধীন দেশ। স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে যা যা থাকা দরকার, যদি একেবারে অল্প পরিমাণেও থাকে, সেটা থাকতে হবে। উন্নত দেশের মতো অত বেশি আমরা পারব না, কিন্তু তারপরও আমাদেরও যা আছে এইটুকু যেন আমরা বলতে পারি গর্ব করে এবং বিশ্ব সভায় যেন মাথা উঁচু করে আমরা চলতে পারি। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর সেই সম্পর্কে (আধুনিক প্রযুক্তি লব্ধ) জ্ঞানটাও সব থেকে দরকার, প্রশিক্ষণ দরকার। সেই প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান যেন সবার থাকে। আমরা সেটাই চাই।’ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সারা বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা আছে। এটা শুধু বাংলাদেশে না। সেটা হলো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে সবাই মিলেই কিন্তু এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সফলতা অর্জন করেছি, যা বিশ্বব্যাপী একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই ধারাটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে যে কোনোমতেই বাংলার মাটিতে জঙ্গিবাদের স্থান যেন না হয়।

সর্বশেষ খবর