বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের মুক্তি ও জাসদের আম্বিয়ার সঙ্গে পাল্লায় জাহাঙ্গীর

সাজ্জাদ হোসেন, নড়াইল

আওয়ামী লীগের মুক্তি ও জাসদের আম্বিয়ার সঙ্গে পাল্লায় জাহাঙ্গীর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে নড়াইলেও। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারাও চষে বেড়াচ্ছেন মাঠ-ময়দান। বসে নেই ইসলামী দলগুলোও। এরই মধ্যে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার, ব্যানারসহ নানাভাবে প্রচারে নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কেউ কেউ ঢাকায় কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য দলীয় টিকিট নেওয়া। নড়াইল জেলায় দুটি সংসদীয় আসন ৯৩ ও ৯৪।

এর মধ্যে নড়াইল সদরের ৫টি ইউনিয়ন, কালিয়া পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-১ নির্বাচনী এলাকা গঠিত। মোট ভোটার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩৭০ জন। অন্যদিকে লোহাগড়া পৌরসভাসহ সব উপজেলা ও নড়াইল সদরের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-২ নির্বাচনী এলাকা। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩৭ জন। জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির সঙ্গে বিএনপি নেতা বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে লড়তে চেষ্টা করছেন জাসদ একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। নড়াইল-১ (সদর-কালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি আগামী নির্বাচনেও মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে। এ ছাড়া দলীয় টিকিট পেতে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ এস এম আবু সাঈদও শোডাউন করছেন। ১৪-দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির কমরেড বিমল বিশ্বাস ও জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়াও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া দলের প্রয়াত শ্রমিকনেতা বি এম বাকির হোসেনের স্ত্রী নাজমা হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জল্পনা নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে। বসে নেই বিএনপি নেতা মুন্সি সাহারুজ্জামান মোর্তজাও। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির শরীফ মুনির হোসেনের নাম দলীয় ফোরামে শোনা যাচ্ছে। নড়াইল-২ (সদর-লোহাগড়া) আসনের এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। আগামী নির্বাচনেও তিনি জোটগতভাবে প্রার্থী হতে পারেন। এককভাবে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ বোস ও সাধারণ সম্পদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, স্থানীয় নেতা আসিকুর রহমান বাপ্পি, অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস কে আবু বাকের (অব.), কর্নেল হাসান ইকবাল (অব.)সহ বেশ কয়েকজন নেতা নিজেদের মতো করে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবদুল কাদের সিকদার। এ ছাড়া জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ও সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খসরুজ্জামানও দলীয় টিকিট পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ২০-দলীয় জোটের শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি—এনপিপির একাংশের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদও জোটগত মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন। এদিকে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ। এর বাইরে অন্য কোনো দলের তৎপরতা এখানে দেখা যায়নি। অন্যদিকে চারদলীয় জোটের সাবেক এমপি ও ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মুফতি শহীদুল ইসলামও নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছেন।

 

আগামীকাল : বাগেরহাটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর