আষাঢ়ের সন্ধ্যায় বৃষ্টি থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। বেরসিক বৃষ্টি কখনো সংস্কৃতির পথে বাধা হতে পারে না সেই প্রমাণ লক্ষণীয় ছিল গতকাল শিল্পকলা একাডেমিতে। একদিকে বৃষ্টি ঝরছে অন্যদিকে হলুদ রঙে ভিন্নরূপে সেজেছে শিল্পকলা একাডেমি। নাট্যকর্মীদের গায়ে হলুদ রঙের টি-শার্ট, ব্যানারে হলুদের ছড়াছড়ি এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালাকে।
লোক নাট্যদলের তিন যুগ পূর্তির চার দিনের নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী দিনের চিত্রটা ছিল এমনই। মূলত ঈদের ছুটির পর গতকালই শিল্পকলা ফিরেছে তার চিরচেনা রূপে। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার লবিতে শুরু হয় এই উৎসব। আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান। সভাপতিত্বে ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা ও অধিকর্তা লিয়াকত আলী লাকী। উৎসবের শুরুতেই পিয়ানোতে সুর তোলেন মনির হোসেন। সেই সুরে লোক নাট্যদলের শিল্পীরা সমবেতভাবে পরিবেশন করেন ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা/ আমাদের এই বসুন্ধরা’ গানটি। এরপর লোক নাট্যদলের অধিকর্তা লিয়াকত আলী লাকীর লেখা ও সুর করা ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের/এ মাটি মানবতার গানটি’ গাওয়ার পাশাপাশি দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃস্পন্দনের শিল্পীরা। উৎসবে লিয়াকত আলী লাকী নির্দেশিত ৮টি নাটকের মঞ্চায়ন হবে।
একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন ও এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে উৎসবের নাটকগুলো। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঞ্চায়ন হয় সুকুমার রায়ের ‘অবাক জলপান’ এবং লোক নাট্যদলের নাটক ‘কঞ্জুস’। উৎসবের অন্য নাটকগুলো হলো : ‘মাঝরাতের মানুষেরা’, ‘মুজিব মানে মুক্তি’, ‘ডাকঘর’ ‘রথযাত্রা’, সোনাই মাধব’, ‘লীলাবতী আখ্যান’।৮ জুলাই শেষ হবে চার দিনের এই নাট্যোৎসব।