বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন

চট্টগ্রামে লালখান বাজার বিমানবন্দর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে যানজট কমাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৩৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫৭ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪৩০ কোটি ৪২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম এবং আইএইডির সচিব মফিজুল ইসলাম। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়িত হয়েছে সর্বোচ্চ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হলে সেটি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ ও ঢাকায় বিচ্ছিন্নভাবে না করে সমন্বিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়ন করতে হবে। এ জন্য ৭ দিনের মধ্যে জমি খুঁজতে হবে। যত টাকা লাগে তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া নদী ড্রেজিংয়ে ভারতের সঙ্গে যৌথ নদী কমিশন আলোচনা করে ভারতের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যায় কিনা, তা ভাবতে হবে। তা ছাড়া যেসব জেলায় এক্সপ্রেসওয়ে করা হবে সেসব জেলায় টোলভিত্তিক করার কথাও বলা হয়। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প, এটি বাস্তবাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল সড়ক উন্নয়ন ইসলামপুর খেয়াঘাট প্রকল্প, ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। জামালপুর জেলার তিনটি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতিকরণ প্রকল্প, ব্যয় ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিহ্যাবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প, ব্যয় ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। নরসিংদী জেলার অন্তর্ভুক্ত আড়িয়াল খাঁ নদী, হাড়িদোয়া নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখা নদী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুনঃখনন প্রকল্প, ব্যয় ৫০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সীমান্ত নদীতীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যয় ৪৬৬  কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কৃষি শুমারি ২০১৮ প্রকল্প, ব্যয় ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। পাইকগাছা কৃষি কলেজ স্থাপন, খুলনা প্রকল্প, ব্যয় ১০১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, দিনাজপুর ও রংপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প, ব্যয় ধরা হয়েছে ২১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর