বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেশব্যাপী গোখরা সাপের ছড়াছড়ি

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশে বিষাক্ত গোখরা সাপের বাচ্চা ধরা পড়ার হিড়িক পড়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে ডিম থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে আসছে বাচ্চা। মিলছে পরিপক্ব হওয়া ডিমও। ওয়াকিবহাল সূত্রগুলো বলছে, ডিম ফোটার ঋতু হওয়ায় এ ঘটনা ঘটছে। এ সাপ সাধারণত পুরনো মাটির গর্ত বা পরিত্যক্ত আবাসস্থলে ডিম পাড়ে। গতকাল পাওয়া খবর অনুযায়ী, কুষ্টিয়া, নাটোর রাজশাহী ও টাঙ্গাইলে মোট ১৫৭টি গোখরার বাচ্চা ধরা পড়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— কুষ্টিয়া : খোকসায় একটি ঘরের পৃথক স্থানের মাটি   খুঁড়ে ৭০টি গোখরার বাচ্চা ধরা হয়েছে। তবে মা সাপের হদিস করা যায়নি। গতকাল সকালে উপজেলা সদরের চুনিয়াপাড়ার মনোজ মজুমদার ওরফে মনোজ ঠাকুরের বাড়ির একটি কাঁচা ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে পৃথক স্থান থেকে সাপের বাচ্চাগুলো ধরা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিনের বেলায় বাড়ির লোকেরা ঘরটির বারান্দার মেঝেতে কয়েকটি বিষধর সাপের বাচ্চা দেখতে পান। নাটোর : নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর গ্রামের একটি বাড়িতে ৩৫টি বিষধর গোখরা ও ১৫টি সাপের ডিম পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় সব সাপই মেরে ফেলা হয়েছে। তবে মা সাপকে ধরা যায়নি। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের মৃত ফায়েজ উদ্দিন আরিন্দারের ছেলে হাসান উদ্দিন আরিন্দার বাড়ির শোবার ঘর থেকে এসব সাপ ও ডিম উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো পুড়িয়ে মারা হয়। রাজশাহী : রাজশাহীর মোহনপুর ও তানোর উপজেলায় আরও ২৬টি গোখরা সাপ পিটিয়ে মারা হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে রাজশাহীতে প্রায় ২০০ সাপ মারা হলো। ভেঙে নষ্ট করা হয়েছে আরও অনেক ডিম। সর্বশেষ গতকাল সকালে মোহনপুরের বিদিরপুর ফকিরপাড়া গ্রামের মাইনুল ইসলামের বাড়িতে ১৮টি সাপের বাচ্চা মারা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে সাপের উপস্থিতি টের পান পরিবারের লোকজন। কিন্তু সাপটি পালিয়ে যায়। এ নিয়ে বাড়ির মানুষের মনে আতঙ্ক থেকে যায়। এ কারণে রাতে ব্যাঙ দিয়ে ফাঁদ পাতেন মাইনুল ইসলাম। তাতেই কাজ হয়। ফাঁদে ধরা পড়ে মা গোখরা। সখীপুর (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক রান্নাঘর থেকে ২৬টি গোখরা সাপ মারা হয়েছে। গতকাল বিকালে উপজেলার হামিদপুর গ্রামের প্রবাসী আশরাফ আলীর রান্নাঘর থেকে এ সাপগুলো মারা হয়। এ ঘটনায় ওই পরিবার ও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার বিকালে আশরাফ আলীর স্ত্রী রান্নাঘরের সামনে কবুতরের খাঁচায় খাদ্য দিতে যান। এ সময় তিনি খাঁচার ওপর একটি গোখরা সাপ দেখে চিৎকার করেন। বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ওই সাপটি মেরে ফেলেন।

সর্বশেষ খবর