নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে মল্লযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠানে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই কর্মীরা একে অপরের জামা ও শার্ট ছিঁড়ে খালি গায়ে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হন। গতকাল দুপুরে শহরের হোসিয়ারী সমিতি মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান অতিথি যখন ভিতরে প্রবেশ করেন তখন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কালামের ছেলে মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার সমর্থকরা তাকে ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে তারা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব সমর্থিত নেতা-কর্মীদের ধাক্কা মারতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ওই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে নেতা-কর্মীরা বের হওয়ার সময় আবারও হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব সমর্থিত ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আবুল কাউসার আশার কর্মীদের বাকবিতণ্ডার পর হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। তারা একে অপরের জামা ও শার্ট ছিঁড়ে ফেলে খালি গায়ে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলভার্ট ডি কস্টা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল, সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা জামালউদ্দিন কালু প্রমুখ।