রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাম মোর্চার ১৫ দফা ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং সভা-সমাবেশে পুলিশি বাধা বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিনামা ঘোষণা করেছে। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবিনামা তুলে ধরা হয়।

সংবাদ  সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোর্চার কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ সময় বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বহ্নিশিখা জামালী, মানস নন্দী, শহীদুল ইসলাম সবুজ, আকবর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, বিএনপির জামায়াতিকরণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারের তরফ থেকে মৌলবাদীকীকরণ চলছে। বিএনপি বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির রাজনীতিও বর্তমান সরকারের বাইরে কিছু নয়। এ অবস্থার পরিবর্তন এবং ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থাসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের বিপরীতে বাম-প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীন কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও নির্বাচনব্যবস্থা ছাড়া জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে না। মোর্চার ১৫ দফা দাবিনামার মধ্যে রয়েছে : সভা-সমাবেশ, মিছিল, বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশে বাধা প্রদান বন্ধ করা; সংবিধানের ৭০-এ ধারা বাতিল; প্রধানমন্ত্রীর এককেন্দ্রিক নির্বাহী ক্ষমতা কমানো; সংবিধানের স্বৈরতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক, জাতিসত্তাবিরোধী সব বিধান বাতিল; ৫৪ ধারা, ৫৭ ধারা, তথ্যপ্রযুক্তি আইন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, নিবর্তনমূলক ও অগণতান্ত্রিক সব আইন, কালাকানুন ও ধারা বাতিল; জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা; দমন-পীড়ন, অপহরণ, গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ; পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ও রিমান্ডের নামে মানসিক-শারীরিক নির্যাতন বন্ধ; ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ; ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পারিবারিকীকরণ, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাট কঠোরভাবে বন্ধকরণ; বেতন কমিশনের সঙ্গে সংগতি রেখে অবিলম্বে মজুরি কমিশন গঠন; চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি রোধ এবং কালোবাজারি ও অসৎ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর