আজ ১৯ জুলাই জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। তার অন্যতম উপন্যাসগুলো হচ্ছে— নন্দিত নরকে, মেঘ বলেছে যাব যাব, আগুনের পরশমণি, আমরা কেউ বাসায় নেই, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে— দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন। পরে লেখালেখি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যস্ততায় তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। এই সাহিত্যস্রষ্টা নিজ হাতে গড়া গাজীপুরের নন্দনকানন নুহাশ পল্লীর লিচুতলার ছায়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত হন। আজ গাজীপুরের নুহাশ পল্লীসহ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে তার ভক্ত, সুহৃদ, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্বজনরা।
কর্মসূচি : গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে আজ তার স্ত্রী শাওন এবং দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর লেখকের ভক্তরা নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় শ্রদ্ধা জানাবেন হুমায়ূন আহমেদকে। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশ পল্লীর পার্শ্ববর্তী এতিমখানার অনাথ শিশুদেরকে খাওয়ানো হবে হুমায়ূন আহমেদের পছন্দের খাবার। থাকবে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া প্রার্থনার আয়োজন। চ্যানেল আই আজ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এর মধ্যে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গান, কথোপকথন, বিতর্ক অনুষ্ঠান, হুমায়ূন আহমেদের গল্পে চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’, তারই গল্পের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত বিশেষ টেলিফিল্ম ‘রূপার জন্য ভালোবাসা’ ইত্যাদি। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশ, অনন্যা, অন্বেষা, কাকলী ও সময়সহ কয়েকটি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারীরা লেখকের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
হুমায়ূন ভক্তদের গড়া হিমু পরিবহন নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে লেখকের মৃত্যুবার্ষিকীতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে হুমায়ূন আহমেদ রচিত নাটক ‘নদ্দিউ নতিম’ মঞ্চায়ন করবে ম্যাড থেটার।