শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

লিপুকে কেউ হত্যা করেনি!

মর্তুজা নুর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

লিপুকে কেউ হত্যা করেনি!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও মেলেনি কোনো প্রশ্নের উত্তর। কে বা কারা কেন লিপুকে হত্যা করেছে এখনো তার কোনো জবাব দিতে পারেনি তদন্ত কর্মকর্তারা।

দীর্ঘ নয় মাসেও ঘাতকরা শনাক্ত না হওয়া ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য অজানা থাকায় লিপুর পরিবার, বিভাগ ও সহপাঠীদের মধ্যে বিরাজ করছে রাজ্যের হতাশা। হতাশ হয়ে আল্লাহর কাছে বিচার দাবি করছেন তারা। তারা বলছেন, লিপুকে কি তাহলে কেউ হত্যা করেনি? নাকি মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

লিপুর বাবা বদরউদ্দিন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার আশার কতা আর কী বাপু, আল্লা যিরাম রাকিচে সেরামই আচি। কেউই আর যোগাযোগ করে না। শুনিচি মামলা সিআইডির কাচে আচে। আল্লার কাচে বিচার দিচি, আল্লাই বিচার করবি।

আমার লিপুকে কেউ কি মারেনি রে বাপু? তাকে কি পাওয়া যাবে না রে বাবা।’ জানা যায়, গত বছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের ভিতর থেকে লিপুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়— লিপুকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন লিপুর চাচা বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ এই সময়ে মামলাটির কোনো কুল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ ও সিআইডি। অথচ মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব তিনজন কর্মকর্তার হাতবদল হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব সিআইডিতে দেওয়া হয়। সেখানে মামলার দায়িত্ব পান তদন্ত কর্মকর্তা আসমাউল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘বার বার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও লিপু হত্যার আজ পর্যন্ত কোনো সঠিক তদন্ত করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বার বার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শুধু আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি।’

তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দুজন জড়িত ছিল বলে ধারণা করছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসমাউল হক। তিনি বলছেন, হত্যাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী। বিষয়টি এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। মামলার দায়িত্ব অনেক পরে আমার কাছে আসায় ঝামেলা তৈরি হয়েছে। খুনি শনাক্ত করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর