শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফের তালা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে

জহিরুল ইসলাম হিরন, মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আড়াই মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো তালা ঝুলানোর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে এক রিঙ্গিত করে চাঁদা আদায়ের ঘটনা নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির একপর্যায়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশপথে আধা ঘণ্টা তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়।  জানা গেছে, হাইকমিশনের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই সকাল থেকে হাইকমিশনে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের কাছ থেকে জনপ্রতি এক রিঙ্গিত করে চাঁদা তুলতে থাকে ভবন কর্তৃপক্ষ। এ খবর জানতে পেরে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে হাইকমিশন কর্মকর্তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ধস্তাধস্তির সময় নিরাপত্তাকর্মীরা হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (বাণিজ্য) ধনঞ্জয় কুমারকে লাঞ্ছিত করেন। তা দেখে সাধারণ প্রবাসীরা উত্তেজিত হয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে মারতে উদ্যত হলে ওই কর্মকর্তা তাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এ নিয়ে ভবন মালিকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।  উল্লেখ্য, এর আগে গত মে মাসেও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা প্রবেশদ্বার তালাবদ্ধ রেখেছিল ভবন কর্তৃপক্ষ। হাইকমিশন কর্মকর্তা এস কে শাহীন বলেন, আমরা গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সাধারণ প্রবাসীদের সেবায় আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। এখানে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের ওপর হয়রানি বন্ধে বাংলাদেশ হাইকমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। প্রসঙ্গত, এ বছরের শুরুতেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে আধুনিক সেবা নিয়ে নতুন ভবনে সরানো হয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। সেবার মান বাড়লেও পারিপার্শ্বিক সমস্যায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দূতাবাসে সেবা নিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের। হাইকমিশনে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মূল ভবনে ঢোকানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় ওই ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের। শৃঙ্খলা কিছুটা ফিরে এলেও প্রায় প্রতিদিনই নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন সাধারণ প্রবাসীরা। কথায় কথায় গায়ে হাত তোলা, চড়-থাপ্পড় মারা ছাড়াও কখনো কখনো হাইকমিশন চত্বর থেকে প্রবাসীদের জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটানো হচ্ছে।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির এক নেতা জানান, ভবন মালিকের সঙ্গে ভাড়া সংক্রান্ত হাইকমিশনের করা চুক্তিপত্রটি গোঁজামিলে ভরা। ফলে ভবন কর্তৃপক্ষ কয়েক দিন পরপর বিভিন্ন ইস্যুতে চড়াও হয় হাইকমিশনের ওপর। এ বিষয়টি নিয়ে এখনই স্থায়ী সমাধানে না এলে ভবিষ্যতে আরও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে।

সর্বশেষ খবর