অস্ত্রোপচারে আলাদা হওয়া গাইবান্ধার জোড়া শিশু তোফা ও তহুরা এখন ভালো আছে। গতকাল তারা দুজনই মায়ের দুধ খেয়েছে, খাবারও খেয়েছে। যদিও মেডিকেল বোর্ড বলছে, তাদের পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত বলার সময় আসেনি।
গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিশু দুটির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান চিকিৎসকরা। মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও শিশু দুটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাহনূর ইসলাম বলেন, ‘শিশু দুটি এখন পর্যন্ত ভালো থাকলেও তারা ঝুঁকি বা শঙ্কামুক্ত নয়। সকালে তাদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয়েছে। শিশু দুটির ইনফেকশন হওয়া নিয়েই সবচেয়ে বেশি ভয়। এ ছাড়া আর কোনো ভয় নেই। আমরা আশাবাদী তারা সব শঙ্কা কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। আরও ১০ দিন তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সব মিলিয়ে তাদের আরও দু-তিনটি অস্ত্রোপচার করা হবে।’
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান জানান, ‘একটি সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা হয়েছে। জন্মগতভাবে শিশু দুটির যে সমস্যাগুলো ছিল তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ঠিক করা হয়েছে। ছয় মাস পর তাদের পায়খানার রাস্তা করা হবে। এর দুই মাস পর তাদের পেট দিয়ে যে অস্থায়ী পায়খানার রাস্তা করা হয়েছিল তা বন্ধ করে স্বাভাবিক রাস্তা চালু করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া তাদের রিলিজের আগে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা-পরবর্তী করণীয় প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’শিশু দুটির মা শাহিদা বেগম জানান, ‘শিশু দুটি ভালো আছে। অস্ত্রোপচারের পর গতকাল সকাল ১০টায় তাদের প্রথম আলাদাভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কিছু তাদের খাওয়াতে চিকিৎসকদের নিষেধ আছে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ঢামেক হাসপাতালে দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে শিশু তোফা ও তহুরাকে আলাদা করা হয়। এরপর তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে তাদের জ্ঞান ফেরে। এ সময় তারা নড়াচড়া ও কান্নাকাটি করে।