ভারতের মুজাফফর নগরে বাংলাদেশের জঙ্গি দল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সন্দেহভাজন এক সদস্যকে  পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ স্কোয়াডের (এটিএস) মহাপরিদর্শক অসিম অরুণ জানান, মুজাফফর নগরের কুটেসারা এলাকা থেকে গতকাল আবদুল্লাহ নামের ওই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিক আবদুল্লাহ ২০১১ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে বসবাস করছিলেন। তিনি প্রথম দিকে দেওবন্দে থাকলেও গত এক মাস ধরে মুজাফফর নগরের কুটসেরা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি তার জঙ্গি দলের জন্য কর্মী সংগ্রহ করছিলেন। বাংলাদেশ থেকে যে জঙ্গিরা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিত তাদের জন্য ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা ছিল তার দায়িত্ব। সূত্র জানায়, আবদুল্লাহর কাছ থেকে ভুয়া রেশন কার্ড, পাসপোর্ট এবং ১১টি বিভিন্ন ধরনের জাল পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে গোয়েন্দারা। আল-কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীর অনুসারী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। আবদুল্লাহকে আটকের পর এটিএস টিম ও স্থানীয় পুলিশ সেখানে সন্দেহভাজনদের ধরতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

পুলিশ বলছে, ২০১১ সাল থেকে আবদুল্লাহর উত্তর প্রদেশে অবস্থান করলেও বাংলাদেশে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তৎপরতার কথা পুলিশ প্রথম জানতে পারে ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের পর। সংগঠনটির আমির মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানী ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে আছেন। ২০১৫ সালের মে মাসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ হওয়ার পর এর সদস্যরা আনসার আল ইসলাম নামে তৎপরতা শুরু করে। চলতি বছর মে মাসে বাংলাদেশ সরকার আনসার আল ইসলামের সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে। লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলা ও হত্যার ঘটনায় এ সংগঠন জড়িত। ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পরিকল্পনাকারী মেজর জিয়াউল হকও এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।