শিরোনাম
সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

নীলা মার্কেটে ইজারা ছাড়াই পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপশহরে অবৈধ নীলা মার্কেটে ইজারা ছাড়াই বসেছে কোরবানির পশুর হাট। এতে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাতে যাচ্ছে সরকার। ওই হাটের ইজারা না পেয়ে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পশুর হাট বসানোর অনুমতিকে পুঁজি করে ইজারা ছাড়াই হাট বসাচ্ছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলা ও তার স্বামী শাহ আলম ফটিক। জানা যায়, অন্যান্য বছরের মতো এবারও রূপগঞ্জ উপজেলার ১০টি স্থানে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে। এ ছাড়া ওইসব হাটের দরপত্র বিক্রি করে উপজেলা প্রশাসন। তবে নীলা মার্কেট ও জনতা উচ্চবিদ্যালয় নামে দুটি হাট পূর্বাচল উপশহরে পড়ায় রাজউকের অনুমতি চাওয়া হয়। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রাজউক ওই দুটি হাটের অনুমতি দিয়ে দেয়। অনুমতি দেওয়ার পর দরপত্রের মাধ্যমে হাট দুটি ইজারা দেওয়ার কথা থাকলেও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলা ও তার স্বামী শাহ আলম ফটিক কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়াই হাট জমিয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাট দুটির দরপত্র কেনার জন্য উপজেলা পরিষদে ভিড় করলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দরপত্র দেওয়া হয়নি। এতে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে। হাটের দরপত্র না পাওয়া নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, রাজউকের অসাধু কিছু কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নীলা ও তার স্বামী শাহ আলম ফটিক ইজারা না নিয়ে হাট বসিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, অজ্ঞাত কারণে ইউসুফ উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন মাঠ (নীলা মার্কেট) ও জনতা উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন মাঠের পশুর হাটের দরপত্র বিক্রি ও তা আহ্বান করা হয়নি। যেহেতু সরকারিভাবে এ হাট দুটি থেকে কোনো রাজস্ব নেওয়া হয়নি বা কোনো ইজারাদারকে বৈধভাবে ইজারা দেওয়া হয়নি, তাই এ দুটি হাট অবৈধ। স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম নীলা ও তার স্বামী শাহ আলম ফটিক মিলে জোরপূর্বক এ হাট বসিয়েছেন। হাট কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে রূপগঞ্জ উপজেলার ১০টি স্থানে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে ইউসুফ উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন মাঠ (নীলা মার্কেট) ও জনতা উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন মাঠের ইজারা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইউসুফ উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন মাঠ (নীলা মার্কেট) ও জনতা উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন মাঠে কোরবানি পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর