টাঙ্গাইলে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ভাতকুড়া নামক স্থানে একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৪ জন মারা যান। এতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ জনে। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন— কালিয়াকৈরের শুভ (৪৮), শম্পা (৮), সোহেল রানা (৩৫), মেহেদী (২৫), মমতাজ বেগম মায়া (৫৫), বুলু (৩৫), হাজেরা বেগম (৫২) ও রেজভি (১৪), সুমা (২৪)।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে মহাসড়কের ভাতকুড়া এলাকায় ঢাকামুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীদের মধ্য থেকে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ গিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। নিহত ও আহত সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুই পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ট্রাক ও মাইক্রোবাসটি র‍্যাকার দিয়ে মহাসড়কের পাশে সরিয়ে নিলে এক ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে গতকাল বেলা ১২টার দিকে মধুপুর উপজেলার টেলকি এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হাসনাত চৌধুরী হিমেল এবং সিরাজুল ইসলাম সোহাগ নামে দুই কলেজছাত্র নিহত হন। নিহত দুজনের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এনায়েতপুরে। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেলযোগে নেত্রকোনায় বেড়াতে যান দুই বন্ধু হিমেল ও সোহাগ। গতকাল নেত্রকোনা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা হন। একপর্যায়ে তারা উপজেলার টেলকি এলাকায় পৌঁছলে হঠাৎ তাদের মোটরসাইকেলটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে সোহাগ নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হিমেলকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে হিমেলের অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।