সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইসির সঙ্গে সংলাপ

সেনা মোতায়েনে দুই দলের দুই মত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করার এবং রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বিধান বাতিলের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। গতকাল সকালে দলটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এ প্রস্তাব রাখে। এদিকে এই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিপক্ষে ও সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরে। দলের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির সঙ্গে সংলাপ করে। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন জানান, একাদশ সংসদ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে ১০ দফা সুপারিশ রাখা হয়। এর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে রাখা, নির্বাচনী বিতর্ক, দলের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিলের সুপারিশ রয়েছে। তিনি বলেন, মহিলাদের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নির্বাহী কমিটিতে সীমিত কোটায় না রেখে প্রত্যেক দলের অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন করে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হোক। বিদ্যমান নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে দলের কমিটির প্রত্যেক স্তরে ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে।

ইভিএমের বিপক্ষে সেনা মোতায়েনের পক্ষে ইসলামী আন্দোলন : একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিপক্ষে ও সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনকে আইনের আওতায় আনতে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে সংলাপে ১৫ দফা দাবি তুলে ধরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। বিকাল ৩টা থেকে দেড় ঘণ্টারও বেশির সময় বৈঠক শেষে তিনি বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে ১৫ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। ৫ জানুয়ারির মতো আর কোনো নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করেছি। পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করলে ইসিকে আইনের আওতায় আনতে আইনি কাঠামো প্রণয়নেরও সুপারিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্য কমিশনাররা ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করা, অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল, ভোটের একদিন আগে সেনা মোতায়েন, ইভিএম ব্যবহার না করা, নির্বাচনী জামানত ১০ হাজার টাকা, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতি প্রণয়ন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিসহ ১৫ দফা দাবি জানায় দলটি। ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ও ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।

সর্বশেষ খবর