শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সরোয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী জেবুন্নেছা না দুলাল

রাহাত খান, বরিশাল


সরোয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী জেবুন্নেছা না দুলাল

বরিশাল-৫ (সদর) আসনে বরাবরই বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান। ১৯৭৯ সাল থেকে বিএনপি প্রার্থীরা এ আসনটিতে টানা বিজয়ী হয়ে আসছেন। কেবল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহানগর আওয়ামী লীগের তত্কালীন সভাপতি শওকত হোসেন হিরণ বিজয়ী হন। অবশ্য সে নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল হিরণের মৃত্যুর পর একই বছরের ১৫ জুনের উপনির্বাচনে  বিএনএফের সাইফুজ্জামান লিটনকে হারিয়ে এমপি হন হিরণের স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ। তবে এসব পরিসংখ্যানে বিচলিত নয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, নির্দিষ্ট কোন আসন কোন দলের জন্য স্থায়ী হতে পারে না। সুশাসন এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে জনসমর্থন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বরিশাল সদরে নৌকার জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে। মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করায় মানুষ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত। সুযোগ পেলে জনগণ তাদের সেই ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া দেখাতে প্রস্তুত রয়েছে। বরিশাল সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ ছাড়াও গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজালুল করিম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ মো. সাইদুর রহমান রিন্টু এবং অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বলরাম পোদ্দারের নাম শোনা যাচ্ছে। সদর আসনে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, সব কিছু নির্ভর করবে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং দলের সভানেত্রীর ওপর। কেন্দ্র থেকে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার হয়েই মহানগর আওয়ামী লীগের সবাই কাজ করবে। গত কয়েকটি জাতীয় সংসদ এবং উপনির্বাচনে সদর আসনে বিএনপির একক প্রার্থী ছিলেন দলের মহানগর সভাপতি সাবেক মেয়র সাবেক এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার। আগামীতেও তিনি বিএনপির একক প্রার্থী হবেন বলে অনেকের ধারণা ছিল। কিন্তু বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁনও এবার সদর আসনে দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসনে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, যে কেউ এখানে মনোনয়ন চাইতে পারেন। অনেকের মনে আশা থাকতে পারে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করার জন্য সবাই মুখিয়ে আছেন। বরিশাল সদরে জাতীয় পার্টি (জাপা) সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন জেলা সভাপতি অধ্যাপক মহসিন-উল ইসলাম হাবুল, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ও মহানগর সভাপতি এ কে এম মুরতজা আবেদীন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একক প্রার্থী দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা বদরুদ্দোজা সৈকত।  জোটগত নির্বাচনের কারণে বরিশাল সদরে ওয়ার্কার্স পার্টি কোনো প্রার্থী দেবে না বলে জানিয়েছেন দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতান এমপি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর