শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন শরণার্থী ৭ লাখ নিবন্ধন মাত্র ১৮০০!

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কুতুপালং (কক্সবাজার) থেকে

নতুন করে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলেও চলছে কচ্ছপ গতিতে। চারদিনে এ পর্যন্ত মাত্র ১৮০০ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। তবে নিবন্ধনের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সেই সক্ষমতা জেলা প্রশাসনেরও নেই বলে মনে করা হচ্ছে। 

জানা যায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের উদ্যোগে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলেও মাত্র কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে অল্পসংখ্যক লোক কাজ করছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে অনেক রোহিঙ্গা। তারা দেশের মূল জনস্রোতের সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ভবিষ্যতে এদের নিবন্ধনের আওতায় আনা যাবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা সংশয়। বিপুল সংখ্যক এই রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আনতে হলে সরকার কিংবা প্রশাসনকে আরও বড় ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে বলেও মতামত দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কুতুপালংসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হলেও নিবন্ধন করা হয় মাত্র ১২ জন শরণার্থীকে। দ্বিতীয় দিনে ১৫০ জন ও তৃতীয় দিনে ৬৩৮ জনকে নিবন্ধিত করা হয়। গতকাল চতুর্থ দিনে এসে দুটি বুথে নিবন্ধন করা হয় আরও এক হাজার রোহিঙ্গাকে। সব মিলে চার দিনে মোট এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্য সেলের সদস্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম লুত্ফুর রহমান। তিনি বলেন, লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে প্রথমে একটি মাত্র বুথেই কাজ করতে হয়েছে। এ কারণে বেশি সংখ্যক নিবন্ধন সম্ভব হচ্ছে না। কয়েক দিনের মধ্যে মোট ২৫টি বুথে কাজ শুরু হবে। তখন প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার শরণার্থীকে নিবন্ধনের আওতায় আনা যাবে। তাতে আমাদের ৬ মাসের বেশি সময় লাগবে না। এদিকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, যে ছোট্ট পরিসরে প্রশাসন রোহিঙ্গা নিবন্ধনের কাজ শুরু করেছে, তা আরও বড় আকারে পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। মাত্র দুয়েকটি বুথ বসিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিবন্ধনের আওতায় আনা সম্ভব না। গতকাল দুপুরে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনে দেখা গেছে, রোহিঙ্গারা খুব আগ্রহ নিয়ে লাইন ধরে ছবিসহ বায়োমেট্টিক রেজিস্ট্রেশন করছে। তাদের মতে-এখনো অনেক রোহিঙ্গা নিবন্ধন সম্পর্কে জানে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর