শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

টার্কি মুরগির খামারে সফল আরজুমান

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

টার্কি মুরগির খামারে সফল আরজুমান

আমেরিকান হলিবার্ড বাংলাদেশে টার্কি মুরগি নামে পরিচিত। এ টার্কি মুরগি পালনে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় এর প্রসার বেড়েই চলেছে।  আর এ টার্কি মুরগি পালন করে ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য হ্যাচারিও গড়ে তুলেছেন ইকো এগ্রো ফার্মের আরজুমান আরা। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের গোলাপগঞ্জ ইউপির দাদন-মালিপাড়ার ব্যবসায়ী সাদনানের স্ত্রী আরজুমান আরা নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন এ খামার। এখন তিনি প্রতি মাসে টার্কি মুরগির ১০০০ বাচ্চা বিক্রি করেন। বর্তমানে  এক হাজার টার্কি মুরগি আছে। গত মাস থেকে এই টার্কি মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন। কমপক্ষে এক লাখ টাকার অধিক টার্কি মুরগির বাচ্চা বিক্রি করেন। কম খরচে দ্রুত বর্ধনশীল এই প্রজাতি পালন করে আরজুমান আরা অধিক লাভবান। শান্ত স্বভাবের টার্কি মুরগির মাংস খুব পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। অনেকে আরজুমান আরার গড়া ইকো এগ্রো ফার্মটি দেখতে বা পরামর্শ নিতে যাচ্ছেন। তিনিও চান বেকার যুবকেরা এ মুরগি চাষ কবে স্বাবলম্বী হোক। টার্কি মুরগির বাচ্চা (১-৭ দিনের) বিক্রি ৩৫০ টাকা এবং ১৫ দিন বয়সের বাচ্চা ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন বয়সের এই মুরগি বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। আরজুমান আরা জানান, স্বামীর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন অবসরে ইন্টারনেটে টার্কি মুরগি পালন দেখে ইচ্ছা হয়। পরে সেখানেও বিভিন্ন খামারে এ মুরগি দেখতে যাই। এরপরে গত বছরের আগস্ট মাসে আমার নিজ বাড়িতে ১০০ টার্কি মুরগি কিনে পালন শুরু করি। গত বছরের অক্টোবর মাসে দেশে ফিরে এসে আরও ৭০টি টার্কি মুরগি কিনি। এরপর ৫০০টি কিনে টার্কি মুরগির খামার গড়ে তুলি। আর সেই থেকে এখন টার্কি মুরগির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজারে। এখন টার্কি মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর হ্যাচারি করি। আমার খামারে প্রতিদিন ৩৫-৪০টা ডিম পাওয়া যায়। দিন দিন ডিমের পরিমাণও বাড়ছে। ডিম থেকে ফোটানো বাচ্চা বিক্রি করি। যারা পালতে নেয় তাদের বলেছি বাচ্চা বড় করে বিক্রি করলে আমিই কিনে নেব। তারা আমার কাছেই বিক্রি করবে। বড় টার্কি মুরগি মাংসের জন্য ঢাকায় আমি বিক্রি করব। গত মাস থেকে বাচ্চা উৎপাদন এবং বিক্রি শুরু করেছি। গত মাসে চারজন কর্মচারীসহ খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। আর বাচ্চা বিক্রি করেছি এক লাখ টাকার। তবে বিক্রির পরিমাণ দিন দিন বাড়বে। এটা অবশ্যই লাভজনক। তিনি আরও বলেন, শান্ত স্বভাবের টার্কির মাংস খুব পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। একটি টার্কি মুরগির ওজন ৪ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি মোরগ ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আর একটি টার্কি মুরগির বিক্রয় মূল্য ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। টার্কি মুরগি যে কেউ বাসাবাড়িতে পালন করতে পারেন। কারণ এটা লাভজনক। খামারের দেখভাল করার জন্য চারজন লোক রয়েছে। এ মুরগির রোগ কম হয় এবং খাবারও খুব কম খায়।

খাবারের মধ্যে অন্য মুরগির মতই পোলট্রি ফিড খায়। তবে বাড়তি শুধু শাক সবজি খায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর