রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

খাতুনগঞ্জে সিন্ডিকেট ১০ ব্যবসায়ীর

বেপরোয়া চালের বাজার

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

খাতুনগঞ্জে সিন্ডিকেট  ১০ ব্যবসায়ীর

দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ-চাক্তাই। এখানে কমপক্ষে ১০ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অস্থির করে তুলেছে চালের এ বাজার। এ সিন্ডিকেট

গুদামে চাল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে চালের বাজার অস্থির করে তুলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে চালের বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে তিন থেকে চারশ টাকা। তবে আমদানিকারকদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম এবং কোরবানির ঈদে আমদানি বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। চালের বাজার অস্থিরে সিন্ডিকেট কারসাজি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনামুল হক এনাম বলেন, এখন চালের বাজার ‘আসল চাল’ ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ করেন না। চিনি, ডাল, তেল ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে নেমেছে। তাই এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। জানা যায়, চট্টগ্রামের অন্যতম পাঁচ আমদানিকারকসহ ব্যবসায়ীদের ১০ সিন্ডিকেটের কারসাজিতে অস্থির হয়ে গেছে চালের বাজার। এতদিন এসব ব্যবসায়ী চিনি, পিয়াজ, তেলের কারসাজির নেতৃত্বে দিলেও সম্প্রতি তারা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে। এ সিন্ডিকেট গত কয়েক মাসে মিয়ানমার, ভারত এবং থাইল্যান্ড থেকে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করে গুদামজাত করেছে। কিন্তু চালের সংকট দেখিয়ে অস্থির করে তুলেছে বাজার। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এক নেতা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির কথা বলে দেশের বাজার অস্থির করা অযৌক্তিক। এখন যে চাল বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে তা আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল ছিল।’ তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপির এক গ্রুপ চালের বাজার কারসাজির নেতৃত্ব দিচ্ছে। চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনামুল হক এনাম বলেন, ‘ঈদের আগে পরে ছয়-সাত দিন আমদানি বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত চাল আমদানি হয়নি। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে মজুদ কম। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতিব এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আমদানিকারক সিন্ডিকেট চালের বাজার অস্থির করে তুলেছে। সরকারের কার্যকর নজরদারি না থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ঘুরে দেখা যায়, গত পাঁচ দিন আগে ভারতীয় স্বর্ণাসিদ্ধ ৪১ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হয় ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা। ভারতীয় আতপ ৩৫ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা, মিয়ানমারের আতপ ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭ টাকা। দেশি বেতি ৩৮ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, ইরি মোটা ৩৩ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর