বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

এ কেমন আবাসিক হল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

এ কেমন আবাসিক হল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার কাছে যেটি ১ নম্বর আবাসিক হল বলেই বেশি পরিচিত। হল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার ফলে এটি এখন নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত। সম্প্রতি ফাতেমাতুজ জোহরা মোহনা নামের এক ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাবি শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ‘আমরাই জাহাঙ্গীরনগর’ এ হলটির বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার ছবিসহ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটিতে হলের বিভিন্ন দুরবস্থা তুলে ধরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা তাতে ক্ষোভ জানান। চরম দুর্ভোগে দিন যাপন করছেন জানিয়ে মোহনা বলেন, ‘হলে থাকছি নাকি কোনো শাস্তি ভোগ করছি বুঝি না!’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হলে রান্না করার জন্য গ্যাস নেই। খাবার সংরক্ষণের জন্য নেই কোনো ফ্রিজ। নেই লন্ড্রির ব্যবস্থা।’ হলটির একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলটিতে রান্না করার জন্য গ্যাস নেই। ফলে বেশিরভাগ ছাত্রীই অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক হিটার দিয়ে রান্না করেন। যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রচুর বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে। এছাড়া হিটার দিয়ে রান্না করতে গেলে প্রায়ই শর্ট সার্কিট হয়। এতে বেশ কয়েকবার আগুন লাগার ঘটনাও ঘটেছে।

পড়াশোনা করার জন্য কোনো রিডিং রুম নেই জানিয়ে মোহনা বলেন, ‘হলের কমন রুমকেই রিডিং রুম বলে চালানো হচ্ছে। সেখানেও রয়েছে পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল ও পড়াশোনার পরিবেশের অভাব। রুমের জন্য কোনো নতুন চেয়ার-টেবিল কেনা হয় না। ভাঙাগুলোই শুধু জোড়াতালি দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা টেবিল টেনিস খেলার বোর্ডকেই পড়ার টেবিল হিসেবে ব্যবহার করে। রিডিং রুমের ইলেকট্রিক বোর্ডগুলো দুদিন পরপরই নষ্ট হয়ে যায়। এগুলোর মাধ্যমে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন হল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হলেও হলের নিচতলার দুটি টয়লেটের ভাঙা দরজা ঠিক করা হয়নি। তৃতীয় তলার বেসিন নষ্ট হওয়ায় ডাইনিং রুমের বেসিনটি সেখানে লাগানো হয়েছে।’ হলটির ২৭তম আবর্তনের ছাত্রী মুনি চাকমার বরাতে জানা যায়, গত ১৭ বছর ধরেই নিচতলার টয়লেটের দরজা দুটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এসব বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য হলটির বর্তমান প্রভোস্ট অধ্যাপক ফারুক আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনোটিরই জবাব দেননি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর