জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৫০ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে সাতজন ফিরে আসেন। দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার দেখিয়েছে। গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ চিত্র তুলে ধরা হয়। আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ মাসে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৩৮ জন। রাজনৈতিক সংঘাতে নিহত হয়েছেন ৪৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০৬ জন। দেশে বিভিন্ন স্থানে ৩৫ বার ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৮৮ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৩ নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১১ জন নারী। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ৭৭ নারীর ওপর। অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ২৭ নারী। ১ হাজার ২১৭ জন শিশু নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। ৮৩ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এ ছাড়া সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মেয়রের গুলিতে নিহত হন। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১০ জন ও শারীরিক নির্যাতনে ৬ জন নিহত হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ৩৭ জন। ফেরত এসেছেন ১৩ জন। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মাধ্যমে ১০৭ নারীকে হত্যা করা হয়। এদিকে চলতি বছরের আগস্টে সারা দেশে ১৪৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)।
এ হত্যাকাণ্ডের হার ব্যাপকভাবে বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএইচআরসি জানায়, আগস্টে নিহত হন যৌতুকের কারণে চারজন, পারিবারিক সহিংসতায় ১৮ জন, সামাজিক সহিংসতায় ৪৯, রাজনৈতিক কারণে চারজন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সাতজন, চিকিৎসকের অবহেলায় চার, অপহরণে সাতজন, গুপ্ত হত্যাকাণ্ড চার, রহস্যজনক মৃত্যু ৪১, ধর্ষণের পর হত্যা ৫, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২২, আত্মহত্যায় ২১ জন।