বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা পেপারের বিডিংয়ে ব্যাপক আগ্রহ

আজ শেষ হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসার অপেক্ষায় থাকা দেশের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের বিডিং চলছে। গত সোমবার শুরু হওয়া এই বিডিংয়ে বিডারদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ২৫ টাকা দরে বিড করেছেন বিডাররা। এই দরে এরই মধ্যে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার ৫৬ কোটি ৮১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কেনার জন্য বিড করা হয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস ৩৬ টাকা অতিক্রম করেছে। আর বিডিংয়ের বাকি সময়ে ৩৫ টাকার ওপরে যত বিড হবে, ততই বাড়তে থাকবে কাট-অফ প্রাইসের দর। বিডিংয়ের  ৪৮ ঘণ্টায় বা বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ চিত্র দেখা গেছে। এ সময় বসুন্ধরা পেপার মিলসের শেয়ারে ১৩৩ জন বিডার অংশগ্রহণ বা বিড করেছেন। এরমধ্যে ৬৭ জন বা ৫০.৩৭ শতাংশ ২৫ টাকার মধ্যে বিড করেন। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি ৪৪ জন বা ৩৩.০৮ শতাংশ ২৫ টাকা করে দর হাঁকিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ জন্য ৮০ দরে বিড করেছেন। এ ছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১ জন ২০ টাকা করে বিড করেছেন। বসুন্ধরা পেপার মিলস শেয়ারবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এরমধ্যে ১২৫ কোটি টাকা বিডিংয়ের মাধ্যমে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। যা এরই মধ্যে ৯০ টাকা থেকে ৩৬ টাকার বিডিংয়ে কাভার হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটির কাট-অফ প্রাইস সর্বনিম্ন ৩৬ টাকা নিশ্চিত করেছে। তবে বাকি ২৪ ঘণ্টার পরে এই প্রাইস চূড়ান্ত হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইবে কোম্পানিটি। বিএসইসি’র অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা নিতে অর্থাৎ আইপিও আবেদনের সময়সূচি প্রকাশ করবে তারা। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজার থেকে বসুন্ধরা পেপার মিলস উত্তোলিত অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানার আধুনিকায়ন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি এবং স্থাপন করবে কোম্পানিটি। ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ৫০৮ কোটি টাকা তুলেছিল জ্বালানি খাতের একটি কোম্পানি। এরপরে ২০০ কোটি টাকার বেশি কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করেনি। সে হিসেবে এটা বৃহৎ কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে বসুন্ধরা পেপার মিলস। বসুন্ধরার কোম্পানিটিকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে ট্রিপল ‘এ’ (এএএ) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে এফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় একই গ্রুপের মেঘনা সিমেন্ট কোম্পানি। এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ খাতে সাতটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো মেঘনা সিমেন্ট। কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভসহ) হয়েছে ৩০.৪৯ টাকা, শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ ছাড়া) হয়েছে ১৫.৭৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ) হয়েছে ১.৪৬ টাকা। বসুন্ধরা পেপার মিলস বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে গত বছরের ৩০ জুন রোড শো সম্পন্ন করে। ৫০০ কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ১৪৭ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে। এরপরে ২০১১ সাল থেকে ২১টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে আসছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর