বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ

প্রতিদিন ডেস্ক

ভোলা, লক্ষ্মীপুরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া নদীতে মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ। এ সংক্রান্ত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

ভোলা : ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মা-ইলিশ। টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নেমে জেলেরা এখন মহাখুশি। ছোট-বড় মিলিয়ে জেলার ১২৭টি মাছঘাটের আড়তগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা উপচে পড়া ভিড়। এসব আড়ত থেকে ইলিশ মাছ ভোলার বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি বরিশাল, চাঁদপুর, ঢাকা, খুলনা ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। ভোলার বিভিন্ন মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা ইলিশ ধরার উৎসবে মেতেছে। তারা নদীর কূলে এসে তরিঘড়ি মাছ বিক্রি করেই আবার ফিরে যাচ্ছেন নদীতে। কে কত বেশি মাছ আহরণ করতে পারে তার যেন প্রতিযোগিতা চলছে। জেলেরা জানান, যে কয়দিন ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে সে কয়দিনই নদীতে মাছ পাওয়া যাবে। ডিম ছাড়া শেষ হয়ে গেলে নদীতে কোনো মাছ থাকবে না। তাই তাদের এত ব্যস্ততা। পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে থেকে শুরু করে ক্রেতা-বিক্রেতা আড়তদার সবাই দারুণ খুশি। এভাবে আর এক সপ্তাহ মাছ পাওয়া গেলে লোকসান পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবেন বলে মনে করছেন তারা। মত্স্য বিভাগ জানায়, আশ্বিনের পূর্ণিমার তিথির ওপর ভিত্তি করে গত বছরের চেয়ে ১২ দিন আগে এ বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ১ থেকে ২২ অক্টোবর প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ যাতে অবাধে ডিম ছাড়তে পারে সে জন্য সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। জেলেরা জানায়, নিষেধাজ্ঞার সময় নির্ধারণ সঠিক না হওয়ার কারণে অনেক মা-ইলিশ ডিম ছাড়তে পারেনি। তবে উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সঠিক সময়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে দাবি করে বলেন, এ বছর অর্ধেকেরও বেশি মা-ইলিশ ডিম ছাড়তে পেরেছে। আর এতেই আগামী মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাবে। লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের মেঘনায়ও জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে ট্রলার মালিক, জেলে পল্লী, ভোক্তাসাধারণের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার হাট-বাজারে ইলিশে ভরে গেছে। একেবারে টাটকা মাছ। দামও রয়েছে ক্রেতা সাধারণের হাতের নাগালে। খেতেও দারুণ স্বাদ। দারুণ খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাসহ সংশ্লিষ্টরা।

সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট, কমলনগরের মতিরহাট ও রামগতির আলেকজান্ডারের মত্স্যজীবী, আড়তদার ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, জেলার প্রায় ৫০ হাজার জেলে নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন। যেসব ট্রলার ঘাটে ভিড়ছে, দেখা গেছে প্রায় বোটে ইলিশই বেশি ধরা পড়ছে। কারও ট্রলারে ২০ হালি থেকে ৫০ হালি ইলিশও মিলছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, যেহারে ইলিশ ধরা পড়ছে, জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাসহ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে এখানকার ইলিশ।  ছোট ইলিশ হালি প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০, মাঝারি ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা আর বড় ইলিশ প্রকার ভেদে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ খবর