শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রধান দুই দলেই ওজনদার প্রার্থী মনোনয়ন দৌড়ে দেড় ডজন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রধান দুই দলেই ওজনদার প্রার্থী মনোনয়ন দৌড়ে দেড় ডজন

জাতীয় সংসদের চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নির্বাচনী এলাকায় দেশের প্রধান বড় দুটি দলেই ওজনদার প্রার্থী থাকলেও দুই দলেরই মনোনয়নপ্রত্যাশীর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে দিন দিন। একদিকে সংসদের হুইপ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু। ছেলুন আর দুদু তো আছেনই, তারা ছাড়াও দুই দলের আরও অন্তত ১৪ জন দলীয় মনোনয়ন পেতে নানা ধরনের তৎপরতা শুরু করেছেন। আছেন তুলনামূলক কম শক্তিশালী দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও। আসনটি দীর্ঘদিন বিএনপির ছিল। ২০০৮ সালে আসনটির দখল নেয় আওয়ামী লীগ। এখনো আসনটি তাদেরই। তিতুদহ, গড়াইটুপি ও বেগমপুর ইউনিয়ন ব্যতীত চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থীরা ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তৃণমূল থেকে দলের হাইকমান্ড পর্যন্ত। দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই তারা নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগের পাশাপাশি নানাভাবে শুরু করেছেন প্রচারণা। তারা ছুটছেন নেতাকর্মীদের বাড়ি। অংশ নিচ্ছেন এলাকার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে। এলাকায় শোভা পাচ্ছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের রংবেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন। এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন— জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বর্তমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদীন খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্যের সহোদর সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের দফতর সম্পাদক নাজমুল ইসলাম পানু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বর্তমান মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু এবং ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এফবিসিসিআইর পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় আরও যাদের নাম বিভিন্ন আলোচনায় উঠে আসছে, তারা হলেন— জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, সাবেক যুগ্মসচিব ড. মো. আবদুস সবুর (এম এ সবুর), জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নির্বাহী সদস্য লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নির্বাহী সদস্য শরীফুজ্জামান শরীফ, আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র মীর মহিউদ্দিন ও বিএনপি নেতা শহিদুল কাউনাইন টিলু। এ ছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও জাতীয় পার্টির নেতা এম শহিদুর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে জামায়াতে ইসলামীর চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক আবদুল খালেক ইতিমধ্যেই মনোনীত হয়েছেন। তবে শেষ হাসি কে হাসবেন তা নির্ধারণ করবে এ আসনের আট লাখ ৩২ হাজার ৬৪৪ জন ভোটার।

সর্বশেষ খবর