শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

সবজির চেয়ে মুরগি সস্তা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার সবজির চেয়ে ব্রয়লার মুরগি সস্তায় বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজ ও চালের দাম কমেছে বলা হলেও বাস্তবে কমেছে এমন লক্ষণ দেখা যায়নি। গতকালও এক কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। আর সাধারণ মানের চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। তবে শীতের সবজির সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। দাম এখনো বেশ চড়া।

গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। আর সাদা ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২৫ টাকায়। সবজির এমন উচ্চ দামের কারণে কিছু কিছু সবজির থেকে ব্রয়লার মুরগি সস্তায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, গতকালও রাজধানীর মিরপুর ও বারিধারা বাজারে চড়া দামে সবজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব সবজির মধ্যে ফুলকপি প্রতি পিস ৩০, বাঁধাকপি-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া করলা ৫০ টাকায়,  ঢেঁড়স ৬০ টাকায়, ঝিঙা ৭০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কচুর লতির কেজি ৭০ টাকা, লাল আলু ৩৫ টাকা, মুলা ৭০ টাকা।  কাঁচামরিচ ১৪০ টাকায়, লাউ  পিস ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া  পিস ৩৫ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পুঁইশাক  আঁটি ২০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা ও লেবুর হালি ২০ টাকা, ধনে পাতা আঁটি ১৫ টাকা, সাদা আলু ২০ টাকা কেজি। এ ছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯০ টাকা। পিয়াজ দেশি ৮০ টাকা, ভারতীয় ৬০ টাকা, রসুন দেশি ৭০ টাকা এবং ভারতীয় ৮০ টাকা কেজি। মিরপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ বাজারে ছোট আকারের ফুলকপি প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এ ছাড়া ছোট আকারের লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচমরিচের দাম এখন অনেকটাই স্থির। তবে তা ১০০ টাকার নিচে মিলছে না। এদিকে, বারিধারা বাজারে  প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়,  দেশি মুরগি ২২০ থেকে ৪০০ টাকা পিস। লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকায় ও পাকিস্তানি লাল মুরগি আকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, শুধু শিম বা টমেটো নয়, বাজারগুলোতে সব রকম সবজির দামই চড়া।

 গত শুক্রবার ৪০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পটোল, মুলা ও করলার দাম বেড়ে কয়েকদিনের ব্যবধানে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। পিয়াজ ও মরিচের দামও বেশ চড়া। ১৩০ টাকা কেজি দরের নিচে নামছে না কাঁচামরিচ। রাজধানীর বাজারগুলোতে পেয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৮০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া পেঁপে ও কচুরমুখী ছাড়া এখন রাজধানীর বাজারগুলোতে ৬০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না। আগে যেখানে মাঝে-মধ্যে শখ করে মাংস খাওয়া হতো, এখন এমন অনেক পরিবারকে সবজির বদলে মুরগির মাংস খেতে হচ্ছে। তবে এতে অবশ্য একটি উপকার আছে, নিম্নবিত্তের পুষ্টির ঘাটতি কমে আসবে। কথাগুলো বলছিলেন বারিধারা বাজারে সবজি কিনতে আসা মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, দিনের পর দিন সব পণ্যের দাম বাড়ছে। দাম কমানোর বিষয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা থাকবে কেন? দাম কমানোর দায়িত্ব যাদের, তাদের তো দাম বাড়লে আর সমস্যা নেই। এ বাজারে আসা নর্দ্দা এলাকার আরেক বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, শুক্রবার সবজির দাম বেশি থাকে। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি কেনা পটোল এখন ৬০ টাকা। বাজার করতে আসা গৃহিণী রোকেয়া বেগম বলেন, বাড়তি দামের কারণে সবজি খাওয়াই ছেড়ে দিতে হবে। ডাল, ভর্তা, ভাত আর মাঝে-মধ্যে ব্রয়লার মুরগি আলু দিয়ে ঝোল করে খেতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর