শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কঠিন চীবরদান উৎসব শেষ

জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল রাঙামাটির রাজবন বিহার

রাঙামাটি প্রতিনিধি

জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল রাঙামাটির রাজবন বিহার

লাখো পুণ্যার্থীর শ্রদ্ধা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাঙামাটি রাজবন বিহারে দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব শেষ হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টায় মহাদানযজ্ঞ সম্পাদনের মধ্য দিয়ে এ মহোৎসব সম্পন্ন হয়। এ উপলক্ষে ৩২ একর বিস্তৃত রাজবন বিহার এলাকা পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে।

রাজবন বিহার মাঠে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ শীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। এ সময় রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফের সহধর্মিণী ইয়েন ইয়েন, রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সিনিয়র সভাপতি গৌতম দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন। পরে পরিনির্বাণগত বনভান্তের উদ্দেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি চীবর ভিক্ষুসংঘের হাতে তুলে দেন দেবাশীষ রায়। সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে সর্বজনপুজ্য মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের হিতোপদেশ উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির গণমানুষকে সব সময় সৎ ও ন্যায়নীতির পথ অবলম্বন করে হিংসা-বিদ্বেষ, স্বার্থপরতা, লোভ-লালসা, ক্ষমতার গর্ব, বর্বরতা ও পাশবিকতার বিপরীতে বুদ্ধের প্রেম, সাম্য, মৈত্রী, ক্ষমা, ত্যাগ, অহিংসা, আত্মসংযম ও করুণার বশবর্তী হয়ে বিশ্বমানবের সুখ-শান্তি ও কল্যাণে ব্রত থাকার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে বৌদ্ধ আর্য পুরুষ মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের সব প্রাণীর হিতার্থে দেশনা (রেকর্ডিন) শুনানো হয়। বৃহস্পতিবার চরকায় সুতা কেটে শুরু হওয়া এ ধর্মীয় মহোৎসব গতকাল সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালন ও ফানুস উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সকাল থেকে উদযাপিত হয় ভিক্ষুসংঘের পিণ্ডদান, বুদ্ধপূজা, কল্পতরু শোভাযাত্রা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, চীবর উৎসর্গ, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, ধর্মসভা, ধর্মীয় দেশনা।

সর্বশেষ খবর