শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

রিমোট কন্ট্রোলে পাওয়ার টিলার

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

রিমোট কন্ট্রোলে পাওয়ার টিলার

দেশীয় প্রযুক্তিতে পল্লী চিকিৎসক আনোয়ারের তৈরি চালক ছাড়াই রিমোট কন্ট্রোলে পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে মাঠে চাষ শুরু হয়েছে।

ডিজিটাল এই পাওয়ার টিলার বাজারে অন্যান্য পাওয়ার টিলার অপেক্ষা বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ও জ্বালানি খরচ অনেক কম। আমদানিকৃত পাওয়ার টিলারে চাষে যদি একরে ৬-৭ লিটার ডিজেল লাগে এই পাওয়ার টিলারে লাগবে মাত্র ৪ লিটার। এ যন্ত্রে যে যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে তা স্থানীয়ভাবে লেদে তৈরি। বাজারে অন্যান্য পাওয়ার টিলার অপেক্ষা দামও কম বলে এর উদ্ভাবক পল্লী চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন জানান। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আনোয়ার এক্সেল পাওয়ার টিলার’ রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে চলানো যায়। পাওয়ার টিলারের উদ্ভাবক ডা. আনোয়ার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের বাড়ির পাশে মাঠে পাওয়ার টিলারটি চালিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেন। আমদানিকৃত পাওয়ার টিলারের চেয়ে মূল্য কম এবং খরচ কম, সাশ্রয়ী হওয়ায় এ পাওয়ার টিলার কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর কৃষকের কাছে দেশীয় প্রযুক্তির এ পাওয়ার টিলার পৌঁছে দিতে পারলে একদিকে আমদানিপ্রবণতা কমবে, অন্যদিকে কৃষকও লাভবান হবে বলে ডা. আনোয়ার জানান। ইতিপূর্বে ডা. আনোয়ার ধান কাটামাড়া হারবেস্টার মেশিন তৈরি করে ২০১৩ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জাতীয় পুরস্কার রৌপ্য পদক লাভ করেন। এবার তিনি রিমোট কন্ট্রোল হাইব্রিড ডিজিটাল পাওয়ার টিলার তৈরি করেছেন। পাওয়ার টিলারটি এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডা. আনোয়ার জানান, ‘আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে হালচাষে পাওয়ার টিলারের চাহিদা রয়েছে। আর এজন্য আমাদের বিদেশ থেকে বিদেশি যন্ত্র আমদানি করতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই মেশিন কিনলে এ মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আবার কৃষকও লাভবান হবে।’ তিনি জানান, ‘ফুলবাড়ী উপজেলার সুজাপুর এলাকার একটি চাতাল ভাড়া নিয়ে এ মেশিন তৈরি করছি। চাহিদা অনেক কিন্তু অর্থাভাবে তৈরি করে বিক্রি করতে পারছি না। তবে এ পর্যন্ত তিনটি পাওয়ার টিলার বিক্রি করেছি এবং দুটি বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর প্রতিটির মূল্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা। অথচ আমদানিকৃত একটি পাওয়ার টিলারের মূল্য ১৫ লাখ টাকার অধিক।’

সর্বশেষ খবর