রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাখতে হবে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান

অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা

রাখতে হবে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান

সামাজিক মূল্যবোধে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। খুন, ধর্ষণ, কিশোরী মেয়ের গায়ে আগুন দিয়ে মেরে ফেলা এ ঘটনাগুলো আমাদের নাড়া দিয়ে যায়। মানুষের মধ্যে বিশ্বাস, মূল্যবোধ, ভালোবাসা, পারিবারিক বন্ধনে ধস নামছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। বিচারে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; যাতে কেউ আর এ ধরনের অপরাধ করার দুঃসাহস না করে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। তিনি বলেন, বাড্ডা বা নরসিংদীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। তাই আমাদের পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও সমাজকে সচেতন হতে হবে। সমাজে মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে মনে করা হয়। সে দুই বছরের শিশু হোক আর ৭০ বছরের বৃদ্ধা। আর মানুষের মধ্যে এই মনোভাব তৈরির একটা বড় উপাদান আকাশ সংস্কৃতি। আকাশ সংস্কৃতির কারণে অসুস্থ পারিবারিক, সামাজিক নাটক, সিনেমা দেখছে এ দেশের মানুষ। এই অনুষ্ঠানগুলোর একটিতেও সুস্থ এবং স্বাভাবিক সামাজিক ও পারিবারিক কিছু পরিবেশন করা হয় না। কোনো আদর্শগত ভিত্তি নেই এসব অনুষ্ঠানের। তাই এই আকাশ সংস্কৃতির প্রকোপ বন্ধ করতে হবে। জিনাত হুদা আরও বলেন, পশ্চিমা সমাজব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের সমাজব্যবস্থাকে মেলালে চলবে না। কারণ আমরা এখনো তাদের মতো সামাজিক, পারিবারিক বা অর্থনৈতিক অবস্থানে পৌঁছাতে পারিনি। এ সমাজে সামাজিক মূল্যবোধের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তথ্যপ্রবাহের সুবিধা নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উঠতি বয়সী ছেলেদের হাতে পৌঁছাচ্ছে পর্নোগ্রাফি। আর এসব কারণে কুরুচিপূর্ণ এবং বিকৃত বিষয় জায়গা করে নিচ্ছে তাদের মেধা-মননে। এর ফলে সমাজ পাচ্ছে খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা।

সর্বশেষ খবর