রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঢাকা ও রংপুরে অপহরণ

বাড্ডা-তেজগাঁও থেকে উদ্ধার দুই শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুর থেকে দুই বছর আগে অপহৃত এক কিশোরীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই কিশোরীর নাম শামীমা আক্তার হিমু (১৪)। গতকাল সকালে বাড্ডার হল্যান্ড সেন্টারের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণকারী মাহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানীর গুলশান থেকে সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিশুর নাম তাওসিফুর রহিম। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ২৩/১ মধ্য কুনিপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পিবিআইর ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানান, ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুরের শালবন মিস্ত্রিপাড়া থেকে হিমুকে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন অপহরণ করে। হিমু রংপুরের আরসিসিআই পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ওই ঘটনায় ভিকটিমের মা হাসি আক্তার বাদী হয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এদিকে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের অভিজাত শপিং মল পুলিশ প্লাজা কনকর্ড থেকে রহিমকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় মূল অপহরণকারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শিশু রহিমকে অপহরণের পর শিশুর বাবা মমিন আহমেদের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। শিশুর বাবা গুলশান থানায় মামলা করার ৭ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী রুবেলসহ অন্যরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। একটি গুলি রুবেলের বাম পায়ের গোড়ালিতে লাগে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলসহ শিমুল শেখ ও সাগর নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশ প্রহরায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রুবেলের চিকিৎসা চলছে। শপিং মলের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট হয় অপহরণ চিত্র। সেখানে দেখা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে শিশু রহিমকে নিয়ে কেনাকাটা করতে যান মমিন আহমেদ ও স্ত্রী নাজমুন আরা। হঠাৎ চোখের আড়ালে লাপাত্তা রহিম। গুলিবিদ্ধ রুবেল শিশু রহিমকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে এমন চিত্র স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

 

সর্বশেষ খবর