রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

তিস্তায় রুপালি ইলিশ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তায় রুপালি ইলিশ

ইলিশের নাম মুখে এলেই দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর কথা চোখের সামনে ভেসে আসে। কিন্তু সে চিত্র এখন পাল্টে যেতে শুরু করেছে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনায়ই নয়; রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে। তবে ঝাঁকে ঝাঁকে নয়, মাঝে মাঝে। তাতেই বেজায় খুশি এখানকার মাঝিরা। ইলিশ যেন তিস্তা পারের জেলেদের নতুন স্বপ্ন। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তিস্তার ইলিশ। তিস্তা ব্যারাজে বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের আরেক আকর্ষণ এখন তাজা ইলিশ। তিস্তায় ইলিশ ধরা পড়ার এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখা যায়নি। ধরা পড়া ইলিশ মুহূর্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ, গড্ডিমারীর তালেব মোড়, পারুলিয়া এলাকায় স্থানীয় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। তিস্তায় ইলিশ ধরা পড়ছে এমন সংবাদে লোকজন ছুটে যাচ্ছে নদীর পাড়ে। পাড়েই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। প্রতিদিন ১৫-২০টি ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। গতকালও তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ৫টি ইলিশ ধরা পড়ে। সে মাছ আবার মুহূর্তেই চড়া দামে বিক্রি হয়ে যায়। স্থানীয় জেলে খাদেম আলী (৫০) জানান, ১৯৮৮ সালের বন্যায় তিস্তায় কিছু ইলিশ ধরা পড়েছিল। আর ৩০ বছর পর আবারও তিস্তায় ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজে ঘুরতে আসা আমিনুর রহমান, মনিরুজ্জামান ও ফারুক বলেন, ‘এক কেজি ওজনের দুটি ইলিশ কিনেছি ৬০০ টাকা কেজি দরে। তিস্তায় তাজা ইলিশ কিনতে পারব তা কখনো ভাবিনি।’ জেলে আকবর হোসেন বলেন, ‘তিস্তায় ইলিশ পেয়ে আমরা অনেক খুশি। তিস্তা খনন করা হলে আমরা বিভিন্ন জাতের মাছ পেতাম।’ কিন্তু নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পানিশূন্য হয়ে পড়ছে তিস্তা। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গতকাল ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল ৬ হাজার ৩০০ কিউসেক। দিন যত যাচ্ছে পানিও সমানতালে কমছে। লালমনিরহাট জেলা মত্স্য কর্মকর্তা ড. এস এম রেজাউল করিম বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা ২২ দিন বন্ধ থাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উজানের দিকে চলে এসেছে। তাই তিস্তায়ও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রচুর ইলিশ তিস্তায় এসেছে বলে জানান এই মত্স্য কর্মকর্তা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর