সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
গোলটেবিলে বক্তারা

সিটিং সার্ভিসের নামে ৯৬ শতাংশ যাত্রী নৈরাজ্যের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সিটিং সার্ভিসের নামে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেছেন, সিটিং সার্ভিসের নামে রাজধানীতে ৯৬ শতাংশ বাস-মিনিবাসের যাত্রী নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছেন। তারা বলেন, ভাড়া নৈরাজ্য ও পিক আওয়ারে দরজা বন্ধ করে বাস চলাচলের কারণে মাঝপথের যাত্রীরা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাচ্ছেন না। এ ছাড়া একই দূরত্বে একেক বাসে একেক হারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে যাত্রী দুর্ভোগের এই চিত্র। আলোচনায় অংশ নেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান, সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য বন্ধে সরকার গঠিত কমিটির সদস্য সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম তালুকদার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী প্রমুখ। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, জিডিপির ৩৭ শতাংশ ঢাকা থেকে উৎপাদিত হয়। অথচ ঢাকায় যানবাহনের গতি দিন দিন কমছে এ কারণে জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিতে হবে। সিটিং সার্ভিস ও লোকাল সার্ভিস উভয়ের নৈরাজ্য ও হয়রানি বন্ধ না হলে ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়তে থাকবে। বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান বলেন, বিআরটিএর আইনে সিটিং সার্ভিস বলতে কিছুই নেই। মালিকরা অতিরিক্ত মুনাফার লোভে এসব বিষয় আবিষ্কার করেছেন। সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য বন্ধে সরকার গঠিত কমিটির সদস্য সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় বাসভাড়া এত বেশি বাড়ানো হয়েছে, এর জন্য আমাদের মালিক-শ্রমিক-আমলা-মন্ত্রী সবাই দায়ী।’ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঢাকা মহানগরীর যাত্রীরা বাস-মিনিবাসে সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছেন। আবার সিটিং সার্ভিস গাড়ির গায়ে লিখে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ, তিনগুণ, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাঁচগুণ পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর