ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় জঙ্গি সোহেল ওরফে সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ আহসান হাবীব শাহীন আসামির এ জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত সূত্র জানায়, সোহেল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) ইন্টেলিজেন্স শাখার একজন সদস্য। আসামি সোহেল তাদের সংগঠনের বড় ভাই জিয়ার (মেজর জিয়া) নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। এ ছাড়া আসামি সোহেল বিচারকের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। দুপুর ১টা ৩০ থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিচারকের কাছে আসামি এ জবানবন্দি দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আসামি সোহেলকে রবিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পরে সে ঘটনার বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছা পোষণ করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের কাছে দুর্বৃত্তদের চাপাতির কোপে ব্লগার অভিজিৎ রায় নিহত হন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন। তারা দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে তারা দেশে এসেছিলেন। বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে তারা হামলার শিকার হন। সেই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপর সোহেলসহ ছয়জনকে ধরিয়ে দিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফেসবুক পেজে ছবি দেওয়া হয়।